ঢাকা, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মার্কিন ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খতিয়ে দেখার নির্দেশ

ডুয়া ডেস্ক : দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করা নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মার্কিন ও ইসরায়েলি প্রশাসনের সমালোচকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
আজ বুধবার (০২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'গত ২৫ মার্চ এক চিঠিতে কূটনীতিকদের ওই নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। নির্দেশনা অনুযায়ী, কিছু শিক্ষার্থীর ভিসার আবেদন পাঠানো হয়েছে ফ্রড প্রিভেন্ট ইউনিট বা প্রতারণা প্রতিরোধ ইউনিটের কাছে। বিশেষ এই ইউনিট ওই শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপরতা যাচাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ও ইহুদিবিরোধী মনোভাবের ইঙ্গিত মিললে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।'
এতে আরও বলা হয়েছে, 'এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য, ফিলিস্তিনপন্থী আবেদনকারীদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব আবেদনকারীর আচরণ বা অনলাইন কর্মকাণ্ড ‘যুক্তরাষ্ট্র বা এর সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব’ প্রকাশ করে, তাঁদের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে।'
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে তিন শতাধিক ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা তোমাদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছি, অ্যাকটিভিস্ট সেজে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য নয়।"
ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত ইহুদিবিদ্বেষ (অ্যান্টি-সেমিটিজম) বিরোধী নীতির আওতায় বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নীতির কারণে বহু বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে এবং অনেককেই তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তুর্কি শিক্ষার্থী রুমাইসাকে আটক করা হচ্ছে। তিনি বোস্টন টাফটস ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে ছিলেন। একদিন ইফতারের আয়োজনের জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর, একদল মুখোশধারী তাকে আটক করে। পরে জানা যায়, সেই মুখোশধারীরা আসলে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইস) কর্মকর্তা ছিলেন। রুমাইসার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায় তারা।
রুমাইসার 'অপরাধ' ছিল তার ক্যাম্পাস ম্যাগাজিনে লেখা একটি নিবন্ধ। যেখানে তিনি ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকে অনুদান প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাকে হামাসের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করে।
এই ঘটনার পর রুমাইসা ক্যানারি মিশন নামক একটি ইসরায়েলপন্থি ওয়েবসাইটের কালোতালিকাভুক্ত হন। ওই ওয়েবসাইটটি মূলত ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ করে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে দুই কোম্পানি
- ছাত্রদল সভাপতির পদ হারিয়েছেন রাকিব! যা জানা গেল
- মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত