ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
দুইদিন ধরে নিখোঁজ ঢাবির সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান

ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালেদ হাসানকে গত দুইদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠীরা। পরিবারের সঙ্গেও খালেদের যোগাযোগ নেই বলে জানান তারা। খালেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ছিলেন।
খালেদ হাসানের বন্ধু ও সহপাঠীরা জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ মাহিন বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে খালেদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওর বাসায় কেউ ওর ব্যাপারে জানেন না। আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে নানা হুমকি ছিলো ওর জীবনে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাকে দ্রুত খোঁজে বের করার অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে খালেদ হাসানের নিখোঁজের বিষয়ে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন হাতে এসেছে দেশ রূপান্তরের। এতে বলা হয়, খালিদ হাসান এর ব্যবহৃত মোবাইলের রেকর্ড ও তার ছোটবেলার বন্ধু ওমর ফারুকের দেওয়া তথ্যমতে গত ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সে তার বন্ধু ওমর ফারুক সহ বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশ এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। পরবর্তীতে গত ২০ ডিসেম্বর ভোর ৫ ঘটিকার সময় তিনি পূর্বাচল জলসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় অনুষ্ঠিতব্য ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন।
ম্যারাথন শেষে তার বন্ধুকে ফার্মগেট এলাকায় নামিয়ে দিয়ে তিনি সকাল পৌনে ১১টায় টায় তার মোটর সাইকেল করে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কক্ষে ফিরে আসেন। হলে থাকা সিসি ক্যামেরায় তা দেখা গেছে। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এখনো হলে রয়েছে। সিডিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি গত শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় সর্বশেষ তার এক বন্ধুর সাথে কথা বলেন, যিনি ঢাকার বাইরে আছেন। তার রুমের দরজা বাহির থেকে তালা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়।
এতে আরও বলা হয়, তাকে খুঁজে না পাওয়ায় তার বন্ধুরা তার তালাবদ্ধ রুমের দরজা পাশের রুমে থাকা চাবি নিয়ে খুলে তার ব্যবহৃত একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল পায়। উক্ত মোবাইল তার বন্ধুদের মাধ্যমে ডিভি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। উক্ত মোবাইল পর্যালোচনা করে দেখা যায় উক্ত মোবাইলটির হোয়াটসঅ্যাপ আনইন্সটল করা। যাতে ভিকটিম নিজে আনইন্সটল করার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। তার হোয়াটসঅ্যাপ ডাটা রিস্টোর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে তাকে বিকাল তিনটায় জিহাদ নামের একজন ছেলে দেখেছে বলে জানা যায়। তার ছোটবেলার বন্ধু ওমর ফারুক কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পূর্বেও তার পিতার সাথে ঝগড়া করে মোবাইল বন্ধ করে অন্যত্র আত্মগোপন করে ছিল। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। তাকে খুজে বের করার চেষ্টা চলছে।
তার সহপাঠী আল মাহমুদ জানান, শেষবার গত বৃহস্পতিবার রাতে আমাকে বলেছিলো যে ও ম্যারাথন দিবে, তারপর শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুইবার কল দিয়ে ওয়েটিং পাই, এবং আমার কল সাধারণত ও ইগনোর করে না বা পরে কল করে কিন্তু পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পাই। ওর নিখোঁজ হওয়াটা বিস্ময়ের কারণ আমাকে ও অন্তত জানাতো। কিন্তু আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। ওর বাসায় কেউ এ ব্যাপারে জানেন না, ওর আব্বু ওর চাচার সাথে একাধিকবার কথা হয়েছে তারাও জানেন না কিছু। আমি চাই অতি দ্রুত আমাদের বন্ধু আমাদের কাছে ফিরুক।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- উৎপাদন বাড়াতে নতুন যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করছে দুই কোম্পানি