ঢাকা, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
প্রবাসীদের বিপদে ফেলছে অবৈধ লাগেজ চক্র

ডুয়া ডেস্ক : ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবের সময় অথবা বছরের অন্যান্য সময়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে আসেন। তবে কিছু সাধারণ ও নিম্ন আয়ের প্রবাসীকে একটি অসাধু চক্র অর্থের বিনিময়ে অবৈধ লাগেজ বহনে ব্যবহার করছে। তাদেরকে কখনও বিমানের টিকিটের মূল্য পরিশোধ করা হয়, আবার কখনও ১০-১৫ হাজার টাকা দিয়ে এই চক্রের অংশ হিসেবে কাজ করতে বলা হচ্ছে। এই চক্রটি প্রবাসীদের লাগেজে স্বর্ণ, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মালপত্র পাঠাচ্ছে। এর পাশাপাশি, খাবারের প্যাকেটের নাম দিয়ে নিষিদ্ধ পণ্য যেমন মাদক, ওষুধসহ অন্যান্য কাস্টমস নিষিদ্ধ সামগ্রীও পাঠানো হচ্ছে।
প্রবাসীরা এই মালপত্র বিমানবন্দরে পার করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন। আটক হওয়ার পর তারা জেল বা জরিমানা সহ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন। দিন দিন এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে।
সিলেটের সাঈদ আহমদ, যিনি ৬ ফেব্রুয়ারি শারজাহ থেকে দেশে ফিরছিলেন, তাকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ আটক করা হয়। তাঁর পরিবারের মতে, সাঈদ তার লাগেজে অন্য এক প্রবাসীর দেয়া চার্জার লাইট, ফ্যান এবং থাই গ্লাসের লক বহন করছিলেন, যার বিনিময়ে মাত্র ৪০০ দিরহাম পেয়েছিলেন। তবে, তল্লাশির সময় এসব পণ্যের ভেতরে স্বর্ণ পাওয়া যায় এবং সাঈদ আটক হন। সাঈদ দাবি করেছেন, তিনি কিছু না জেনে এসব মালপত্র বহন করেছেন এবং তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বদিউল আলমও ছুটিতে দুবাই ফেরার পথে অন্যের দেয়া খাবারের বাক্স বহন করতে গিয়ে বিপদে পড়েন। তার খাবারের বাক্সে ১৩০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়, এবং তাকে দুবাই আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বদিউলের পরিবার দাবি করেছে, খাবারের বাক্সটি প্রতিবেশী রমজান নামের একজন প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া হয়েছিল।
প্রবাসীরা জানান, স্বর্ণের মূল্য অনুযায়ী এই চক্রের কার্যক্রম বাড়ে, এবং উৎসবের সময় এসব ঘটনা আরও বৃদ্ধি পায়। বিমানের টিকিটের চড়া মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় কিছু প্রবাসী এই চক্রের প্রলোভনে পড়ে। আরও কিছু প্রবাসী শুধুমাত্র আবেগ কিংবা লোভের কারণে অপরিচিত বা আত্মীয়-স্বজনের দেওয়া মালপত্র বহন করেন, যা তাদের বিপদে ফেলছে। বিশেষ করে আমিরাত থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটমুখী ফ্লাইটের যাত্রীরা বেশি এই ফাঁদে পড়ছেন।
আরব আমিরাতে বাংলাদেশ মিশন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘আরব আমিরাতের আইন খুব কঠোর। বিশেষত নিষিদ্ধ পণ্য বহন করলে বড় শাস্তি হতে পারে।’
বিমান দুবাইয়ের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাকিয়া সুলতানা বলেন,‘অপরিচিত লোকের মালপত্র বহন করার আগে সেগুলোর ভিতরের বিষয় ভালোভাবে যাচাই করা উচিত।’
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা