ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
প্রতীক্ষার অবসান, মঙ্গলবার দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুর উদ্বোধন

ডুয়া ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেল সেতু। এই সেতু ঢাকার সাথে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ আরও সহজ করবে। ৫০টি পিলারের উপর ৪৯টি স্প্যান দিয়ে নির্মিত ডাবল লেনের এই সেতু, ট্রেনকে মাত্র সাড়ে তিন মিনিটে যমুনা নদী পার করতে সক্ষম করবে।
যদিও সেতুটি ডাবল লেনের তবুও বর্তমান সময়ের জন্য শুধুমাত্র সিঙ্গেল লেন চালু থাকায় সেতুটির পূর্ণ সুফল যাত্রীদের জন্য তত দ্রুত পাওয়া যাবে না। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাবল লেনের রেললাইন স্থাপন করা হবে, যা যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রেলপথ বিভাগ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যমুনা রেল সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেলস্টেশন পর্যন্ত অতিথিরা ট্রেনে যাতায়াত করবেন। এরপর ১১টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পরে দুপুর ১২টায় অতিথিরা আবার ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনে ফিরে আসবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন জানান, নতুন সেতুর মাধ্যমে ট্রেন পারাপারের সময় আগের তুলনায় অনেক কমে যাবে তবে ডাবল লেনের সুবিধা পেতে কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটিতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে এটি রং করার প্রয়োজন হবে না। এই সেতু দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে সংযুক্ত করবে।
ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া জানান, সেতু দিয়ে ট্রেন ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে চলবে, যার ফলে যমুনা পার করতে সাড়ে ৩ মিনিট সময় লাগবে। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পার করতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগতো।
প্রকল্পের নকশা ২০১৬ সালে প্রণয়ন করা হয় এবং সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯,৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পরে তা ১৬,৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় বৃদ্ধি পায়। ২৭.৬০% অর্থায়ন দেশীয় এবং ৭২.৪০% অর্থায়ন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এই সমস্যার সমাধানে সরকার আলাদা একটি রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এই রেল সেতু দেশের প্রথম ডাবল ট্রাক ডুয়েল গেজ সেতু হিসেবে পরিচিত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস