ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
৩ মাসে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার

ডুয়া নিউজ : গত তিন মাসে ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের পরিমাণ ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। সেখানে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা।
অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি এবং আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮১টি। এর তিন মাস আগে, সেপ্টেম্বর শেষে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। অর্থাৎ, তিন মাসের ব্যবধানে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫৪টি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে দেশে কোটি টাকার আমানতকারী ছিলেন মাত্র ৫ জন, যা ১৯৭৫ সালে বেড়ে ৪৭ জনে উন্নীত হয়।
১৯৮০ সালে কোটি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮টি; ১৯৯০ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৯৪৩টি; ১৯৯৬ সালে কোটিপতি হিসাব সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৯৪টি; ২০০১ সালে তা বেড়ে ৫ হাজার ১৬২টি হয়; ২০০৬ সালে কোটিপতির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮ হাজার ৮৮৭টি; ২০০৮ সালে এটি আরও বেড়ে ১৯ হাজার ১৬৩টি-তে পৌঁছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে এক কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৮৯০টি ছিল। পরের বছর, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, এটি ১ লাখ ১ হাজার ৯৭৬টিতে উন্নীত হয়।
এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি ছিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টিতে পৌঁছায়। ২০২৪ সালের জুনে আরও বেড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৪টিতে দাঁড়ায়।
তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে হিসাবের সংখ্যা কিছুটা কমে ১ লাখ ১৭ হাজার ১২৭টিতে নেমে আসে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা আবারও বেড়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৮১টিতে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। এরপর অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, যাদের মধ্যে অনেক কোটিপতি হিসাবধারীও ছিলেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেকেই ব্যাংক থেকে নিজেদের আমানত তুলে নিতে শুরু করেন, যার ফলে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা কমতে থাকে। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে ব্যাংকের বাইরে থাকা অর্থ আবারও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করে। এর ফলে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- উৎপাদন বাড়াতে নতুন যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করছে দুই কোম্পানি