ঢাকা, বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

সাড়ে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো ৭৪ মূল্যবান গাড়ি

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৫ ১৬:১৭:১৫
সাড়ে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো ৭৪ মূল্যবান গাড়ি

ডুয়া নিউজ: ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিদেশ থেকে আমদানি করা ৭৪টি মূল্যবান গাড়ি প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করে দিলো চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি সাপেক্ষে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমেবিক্রি করা হয়েছে স্ক্র্যাপ করা গাড়িগুলো।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে ৭৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য প্রতি টনের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা। কিন্তু নিলামে দর ওঠে ২৪ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত। অবশ্য, ১৩ হাজার টাকা থেকেই শুরু হয়েছিল ডাক। এই নিলামে অংশ নেয় চট্টগ্রামের ১৫টিরও বেশি রি-রোলিং মিল।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৭৪টি গাড়ির কাটা টুকরো বিক্রি হয়েছে। প্রতি টনের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা।

সূত্রের খবর, গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই স্ক্র্যাপ করতে কাটা হয়েছিল এই ৭৪টি গাড়ি। মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতায় গাড়িগুলো আগেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল বলে দাবি চট্টগ্রাম কাস্টমসের।

চট্টগ্রাম কাস্টমস জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে নিলাম না হওয়ার ফলে বন্দর ইয়ার্ডে পড়ে থাকা পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পড়ে থাকা ১২১টি আমদানি করা দামি গাড়ির আয়ু শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে এসব গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি অনুযায়ী, এত পুরনো গাড়ি নিলামে বিক্রির সুযোগ নেই। তাই ২০২২ সালে বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কাস্টমস নিলাম কমিটি ১২১টি গাড়ি ধ্বংস করার সুপারিশ করে।

বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, কাস্টমস আমদানি করা গাড়িগুলো কেটে স্ক্র্যাপ আকারে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ, শেডে পড়ে থাকা গাড়িগুলোতে বিস্ফোরণ বা দুর্ঘটনার ঝুঁকি ছিল। প্রথম দফায় ৭৪টি গাড়ি কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে নিলামে বিক্রি করা হয় এবং মামলার নিষ্পত্তির পর বাকি ৪৬টি গাড়িও স্ক্র্যাপ করা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম) মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, এসব গাড়ি মামলা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল, তাই এনবিআরের অনুমতি নিয়ে গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ আকারে বিক্রি করা হয়েছে।

এদিকে, ৭৪টি গাড়ি ভাঙারি হিসেবে বিক্রি হওয়া নিয়ে বিডারদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন যে, শর্তারোপের মাধ্যমে শুধুমাত্র রি-রোলিং মিলগুলোকেই নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে