ঢাকা, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২

হলফনামায় মির্জা ফখরুলের সম্পদের পরিমাণ কত?

২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৬:৪৬:৪৬

হলফনামায় মির্জা ফখরুলের সম্পদের পরিমাণ কত?

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন তৎপরতা বাড়ছে, তখন প্রকাশ্যে এসেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্পদের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ। ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় উঠে এসেছে তার ও তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদের বিস্তারিত হিসাব।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রীর সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার কিছু বেশি। রাজনীতি ও সাংগঠনিক দায়িত্বের ব্যস্ততার মাঝেও তার বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনীতির বাইরে পরামর্শক হিসেবেও আয় করেন তিনি। ‘ইজাব গ্রুপ’-এর পরামর্শক হিসেবে বছরে তার আয় ৬ লাখ টাকা। এর বাইরে ব্যবসা, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত আয় এবং ‘দি মির্জাস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ চাকরি সূত্রে তিনি আরও কয়েক লাখ টাকা পান। ব্যাংকে রাখা অর্থের সুদ থেকেও বছরে অল্প পরিমাণ আয় দেখানো হয়েছে।

স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের চিত্র

হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, দম্পতির মোট সম্পদের মূল্য ৪ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৫ টাকা। নগদ অর্থের ক্ষেত্রে ফখরুল নিজেই তুলনামূলক এগিয়ে তার হাতে রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্র ও মেয়াদি আমানতে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে তার স্ত্রীর নামে।

জমিজমার হিসাব

কৃষিজমি হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের নামে রয়েছে ৫ একর জমি, যার ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার টাকা। শহুরে সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে ঢাকার পূর্বাচলে ৫ কাঠা জমি এবং ১ হাজার ৯৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এছাড়া পৈতৃক সূত্রে পাওয়া একটি দোতলা বাড়ির অংশও তার মালিকানায় রয়েছে।

হলফনামায় একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও স্ত্রীর মালিকানাধীন ৩০ ভরি স্বর্ণালংকারের উল্লেখ থাকলেও বর্তমান বাজারমূল্য দেখানো হয়নি। পাশাপাশি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একটি ‘দুই নালা’ বন্দুকের মালিকানার তথ্যও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মামলার তথ্য

রাজপথের আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে মির্জা ফখরুলকে একাধিক মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে মোট ৫০টি মামলা হয়েছিল। তবে অধিকাংশ মামলাই বর্তমানে স্থগিত কিংবা আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে তার বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই বলেও তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত