ঢাকা, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রিন্স সালমানের যুক্তরাষ্ট্র সফর: আলোচনার কেন্দ্রে যুদ্ধবিমান ও নিরাপত্তা চুক্তি

২০২৫ নভেম্বর ১৭ ২২:২২:১২

প্রিন্স সালমানের যুক্তরাষ্ট্র সফর: আলোচনার কেন্দ্রে যুদ্ধবিমান ও নিরাপত্তা চুক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেশ ত্যাগ করেছেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বাদশা সালমানের নির্দেশনা এবং ট্রাম্পের আমন্ত্রণে তিনি এ সফরে যাচ্ছেন।

প্রিন্স সালমানের এই সফরকে ঘিরে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। বিশেষ করে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে এই উন্নতমানের বিমান দিতে আগ্রহী হলেও, এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দখলদার ইসরায়েলের শর্ত।

ইসরায়েল বলছে, সৌদি যদি এফ-৩৫ পেতে চায়, তাহলে আগে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। দেশটির এক কর্মকর্তা এক্সিওসকে জানান, তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে পরিষ্কার জানিয়েছেন রিয়াদের কাছে এফ-৩৫ সরবরাহের শর্ত হিসেবে ইসরায়েল–সৌদি সম্পর্ক স্থাপন বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক অগ্রগতি ছাড়া এ ধরনের অস্ত্র বিক্রি “ভুল সিদ্ধান্ত” হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

অন্য এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, তুরস্ককে এফ-৩৫ বিক্রির ব্যাপারে তাদের অবস্থান কঠোর হলেও, সৌদি আরবের ক্ষেত্রে তেমন উদ্বেগ নেই—যদি এটি আব্রাহাম চুক্তিভিত্তিক আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হয়।

এর আগে ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ বিক্রিতে নীতিগত সম্মতি দেয় ইসরায়েল, তবে একগুচ্ছ নিরাপত্তা শর্ত জুড়ে দেওয়ায় এখনো যুক্তরাষ্ট্র–আমিরাতের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি।

অঞ্চলে বর্তমানে একমাত্র ইসরায়েলের কাছেই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান রয়েছে।

সম্প্রতি এক ফোনালাপে ট্রাম্প ক্রাউন প্রিন্সকে জানান, গাজার যুদ্ধ শেষ হওয়ায় সৌদি চাইলে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে এগোতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ হতে পারে।

ইএইচপি

: সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেশ ত্যাগ করেছেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বাদশা সালমানের নির্দেশনা এবং ট্রাম্পের আমন্ত্রণে তিনি এ সফরে যাচ্ছেন।

প্রিন্স সালমানের এই সফরকে ঘিরে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। বিশেষ করে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে এই উন্নতমানের বিমান দিতে আগ্রহী হলেও, এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দখলদার ইসরায়েলের শর্ত।

ইসরায়েল বলছে, সৌদি যদি এফ-৩৫ পেতে চায়, তাহলে আগে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। দেশটির এক কর্মকর্তা এক্সিওসকে জানান, তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে পরিষ্কার জানিয়েছেন রিয়াদের কাছে এফ-৩৫ সরবরাহের শর্ত হিসেবে ইসরায়েল–সৌদি সম্পর্ক স্থাপন বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক অগ্রগতি ছাড়া এ ধরনের অস্ত্র বিক্রি “ভুল সিদ্ধান্ত” হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

অন্য এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, তুরস্ককে এফ-৩৫ বিক্রির ব্যাপারে তাদের অবস্থান কঠোর হলেও, সৌদি আরবের ক্ষেত্রে তেমন উদ্বেগ নেই—যদি এটি আব্রাহাম চুক্তিভিত্তিক আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হয়।

এর আগে ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ বিক্রিতে নীতিগত সম্মতি দেয় ইসরায়েল, তবে একগুচ্ছ নিরাপত্তা শর্ত জুড়ে দেওয়ায় এখনো যুক্তরাষ্ট্র–আমিরাতের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি।

অঞ্চলে বর্তমানে একমাত্র ইসরায়েলের কাছেই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান রয়েছে।

সম্প্রতি এক ফোনালাপে ট্রাম্প ক্রাউন প্রিন্সকে জানান, গাজার যুদ্ধ শেষ হওয়ায় সৌদি চাইলে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে এগোতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ হতে পারে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত