ঢাকা, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

‘জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা সামলেছিল শিবিরের মেডিকেল জোন’

২০২৫ নভেম্বর ১৪ ২০:১৭:০৯

‘জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা সামলেছিল শিবিরের মেডিকেল জোন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার পর আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের মেডিকেল জোনই প্রথম এগিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছেন ডাকসুর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, চিকিৎসক সংকটের মধ্যেও মেডিকেল জোনের সদস্যরাই পুরো প্রক্রিয়ার তদারকি করেছিলেন।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ছাত্রশিবির মেডিকেল জোন শাখার নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাকসু ভিপি।

রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকার সব মেডিকেল ক্যাম্পাস মিলিয়ে গঠিত মেডিকেল জোন শাখা প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে উপস্থিত হলো।

অনুষ্ঠানে ডাকসু ভিপি বলেন, জুলাই বিপ্লবে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাইবোনদের আহত করেছিল, তখন প্রথম পাশে দাঁড়িয়েছিল মেডিকেল জোনের সদস্যরা। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল, কিন্তু চিকিৎসকের সংখ্যা কম। সেই সংকটকে সামলেছে আমাদের মেডিকেল টিম।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনের হাসপাতালে হামলা চালায়, ১৫ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজেও ছাত্রলীগ বারবার হামলা চালিয়েছিল। আহতদের চিকিৎসা ও তদারকি সম্পূর্ণভাবে করেছে মেডিকেল জোনের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। সভাপতিত্ব করেন শাখার সভাপতি ডা. যায়েদ আহমদ, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন শাখার সেক্রেটারি ডা. জুলফিকার আলী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা ইশরাত জাহান রিফাত প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন। তিনি শিক্ষার্থীদের নতুন ইন্টিগ্রেটেড কারিকুলাম এবং চিকিৎসা শিক্ষার উন্নত পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেন।

বিশেষ আলোচনায় অংশ নেন ছাত্রলীগের হাতে নিপীড়নের শিকার শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক এবং সাবেক মেডিকেল জোন সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি হল দখল, সিট বণ্টনে বৈষম্য এবং জবরদস্তিমূলক রাজনীতির অভিজ্ঞতা স্মরণ করান।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. যায়েদ আহমদ বলেন, নবীনবরণ আয়োজন মেডিকেল জোনের নতুন ধারার সূচনা করেছে। অতীতের স্বৈরাচারী সময়ে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করত, কিন্তু পাঁচ আগস্টের পর এসব দুঃশাসনের অবসান হয়েছে।

আয়োজকের তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার নতুন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত