ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আগুনে দগ্ধ ফিলিস্তিনের মসজিদ

২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২৩:৪১:৫৮

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আগুনে দগ্ধ ফিলিস্তিনের মসজিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের দেইর ইস্তিয়া গ্রামের একটি মসজিদে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা আগুন দিয়েছে এবং কোরআন অবমাননা করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, মসজিদের ভেতরের অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে, দেয়ালজুড়ে নিন্দনীয় বক্তব্য লেখা হয়েছে এবং অন্তত তিনটি কোরআন গ্রন্থ ও কিছু কার্পেট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

মসজিদের দেয়ালে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল— "আমরা ভয় পাই না, আমরা আবার প্রতিশোধ নেব," এবং "নিন্দা চালিয়ে যাও।" এই বার্তাগুলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড প্রধান মেজর জেনারেল আভি ব্লুথকে ইঙ্গিত করে লেখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্লুথ একদিন আগেই বসতি স্থাপনকারীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন।

এটি সাম্প্রতিক সহিংসতার ধারাবাহিকতায় নতুন একটি ঘটনা, যা ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা, মার্কিন প্রশাসন এবং কিছু ইসরায়েলি রাজনীতিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার (১১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম তীরের সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি গাজার পরিস্থিতিকেও অস্থিতিশীল করতে পারে।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু অক্টোবর মাসেই পশ্চিম তীরে রেকর্ড সংখ্যক বসতি স্থাপনকারীদের হামলা হয়েছে। গত দুই বছরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তরুণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা শত শত হামলা চালিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মুখোশধারী কয়েক ডজন বসতি স্থাপনকারী পশ্চিম তীরের বেইত লিদ ও দেইর শরাফ গ্রামে হামলা চালিয়েছিল। সেখানে তারা গাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তিতে আগুন দেয় এবং ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৯ হাজার ১৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৮ জন আহত হয়েছে।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত