ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২

দ্রুত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ভূমি সেবার আহ্বান উপদেষ্টার

২০২৫ নভেম্বর ১০ ১৫:০২:৪৪

দ্রুত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ভূমি সেবার আহ্বান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভূমি সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মানবিক ও ন্যায্য আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যদি সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা অনিয়মে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভূমি সেবার ক্ষেত্রে দ্রুততার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জনগণের।

এই মন্তব্য তিনি দিয়েছেন সোমবার রাজধানীর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘উপজেলা ভূমি অফিসের সেবা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায়।

উপদেষ্টা বলেন, ভূমি সেবায় জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা এবং সেবার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের কল্যাণে কীভাবে কাজ করা যায়, তা নিজস্ব বুদ্ধি ও মানবিকতা দ্বারা নিরূপণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জনগণের ট্যাক্সের অর্থই আমাদের বেতন নির্ধারণ করে।

তিনি আরও বলেন, ভূমি প্রশাসন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। এর কার্যক্রম মূলত উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সাধারণ মানুষের ভূমি সংক্রান্ত প্রায় সব সেবা এখানেই প্রদান করা হয়। কিন্তু সেবার মান এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে এখনও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান।

আলী ইমাম মজুমদার উল্লেখ করেন, সুশাসন হলো রাষ্ট্রের অগ্রগতির পূর্বশর্ত, যেখানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত থাকে। ভূমি মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। এটি খাদ্য, শিল্প ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল উৎস এবং দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভূমি সেবার উন্নয়ন শুধুমাত্র প্রযুক্তিনির্ভর নয়; এটি মানবিকতা, সততা ও দায়িত্ববোধের সমন্বয়েই সম্ভব।

তিনি বলেন, ডিজিটাল ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে, শুধুমাত্র প্রযুক্তি নয়, সেবাদাতাদের মানসিকতা ও দক্ষতার উন্নয়নও অপরিহার্য। নাগরিক ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও আধুনিক ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ভূমি কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বচ্ছতা, দেশপ্রেম, সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে ভূমি খাতকে জনবান্ধব করা সম্ভব। সহকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনিটরিং করা এবং অসততার ক্ষেত্রে শাস্তি আরোপ করা আবশ্যক। কোনো কাজের জন্য উপরের সুপারিশে দ্রুততা থাকলেও সাধারণ মানুষ যাতে সমানভাবে দ্রুত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন টিআইবি পরিচালক-সিভিক এনগেজমেন্ট ফারহানা ফেরদৌস, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুরাইয়া খায়ের এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত