ঢাকা, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

বাজারে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দিবে সরকার

২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১৬:২০:০৭

বাজারে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দিবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক :চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, দেশজুড়ে বাম্পার ফলনের কারণে কোনো পেঁয়াজ সংকট নেই। বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সরকার ইতিমধ্যে ১০ হাজার হাই ফ্লো মেশিন সরবরাহ করেছে।

উপদেষ্টা বলেন, “পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইতিমধ্যে ২ হাজার ৮০০ আবেদন পড়েছে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে যদি বাজারের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসে, আমরা আমদানি অনুমোদন জারি করব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি অযৌক্তিক। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। ক্রেতারা বাজার তদারকি ও সিন্ডিকেটকেই এর মূল কারণ হিসেবে দেখছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার টন, যেখানে গত অর্থবছরে একই সময় ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার টন। বাজার স্বাভাবিক রাখতে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। কমিশন জানিয়েছে, প্রতিবছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় পৌঁছায়, তাই দ্রুত আমদানির অনুমোদন জরুরি।

ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেন, “কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করছে। এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা, কিন্তু এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকার ওপরে। সীমিত আমদানির অনুমতি দিলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে, মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমবে এবং ভোক্তারা যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।”

কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজের উচ্চমূল্যের সুবিধা কৃষকরা পাচ্ছেন না; বরং মধ্যস্বত্বভোগীরাই মূল উপকৃত হচ্ছেন। তাই দ্রুত আমদানির অনুমোদন দিলে বাজারে ভারসাম্য ফিরে আসবে। গত অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও সংরক্ষণ সমস্যাসহ নানা কারণে প্রায় ১১ লাখ টন নষ্ট হয়েছে। বাজারে এসেছে ৩৩ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ, আর চার লাখ ৮৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির মধ্যে ৯৯ শতাংশ আসে ভারত থেকে।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত