ঢাকা, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২
পরিবেশের ক্ষতি না করে যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন চান প্রধান উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদী রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিবেশের ক্ষতি না করে সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথের সমন্বিত উন্নয়ন ঘটাতে হবে, যাতে টেকসই ও কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, বিডা ও বেজার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন এক বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত এটি শৃঙ্খলায় না আনলে তা দেশের অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে। তিনি আরও বলেন, নদী ও পানি আমাদের সম্পদ। উন্নয়ন কার্যক্রমে এগুলোর ক্ষতি করা যাবে না; বরং পানিকে শান্ত রাখতে হবে।
বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যেখানে দেশের সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নের রূপরেখা দেওয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, রেল, সড়ক ও নৌপথের দক্ষ ব্যবহার ও সীমিত সম্প্রসারণের মাধ্যমেই বড় পরিবর্তন সম্ভব।
প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা একটি প্রাথমিক কাঠামো পেয়েছি। এখন বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে একটি সামষ্টিক মডেলে রূপ দিতে কাজ চলছে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ছোট ছোট সড়ক নির্মাণই পুরো অঞ্চলকে জাতীয় কানেকটিভিটির আওতায় আনতে পারে। তাই দ্রুত এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া জরুরি।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি প্ল্যানার্স উইং গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। সেগুলোর সঙ্গে কার্যকর সড়ক সংযোগ নিশ্চিত করতে এখন থেকেই পরিকল্পনা নিতে হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৯৫ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৬৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ: কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান, খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে অগ্নী সিস্টেমস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত২৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে জেএমআই হসপিটাল
- নেগেটিভ ইকুইটি মুক্ত করতে মার্জিন ঋণে তালা মারছে বিএসইসি