ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২

নির্বাচন কমিশনের সামনে গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ

২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১২:৪০:০২

নির্বাচন কমিশনের সামনে গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন ও জাগপা নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। গণভোটের দাবি নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসহ আটটি দল নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন করার অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করেছে দল দুটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে ও মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে পাকা মার্কেট সংলগ্ন সড়কের পাশে অস্থায়ী মঞ্চ করে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে নেতারা বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে নভেম্বরে গণভোট করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সংসদ নির্বাচনের সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। তা না হলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বিগত ইসির পরিণতি ভোগ করতে হবে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে।

সবশেষ ১৯ অক্টোবর জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ‘আদেশ’ জারি এবং নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের চতুর্থ পর্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল।

এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেবেন দলের নেতারা।

সমাবেশে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, মোবারক হোসেন, রেজাউল করিম, নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ শ’খানেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে নাজিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। আমরা আট দল মিলে ইসির কাছে স্মারকলিপি দেবো।

এ সময় গণভোট ও সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দাবির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াত নেতারা।

ইসলামী আন্দোলনের নেতারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট করতে হবে। এ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না। গণভোটসহ আমাদের দাবি না মানলে ইসির পরিণতি আগের মতোই হবে।

৫ দফা দাবি

# জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা।

# আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।

# অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।

# ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

# ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত