ঢাকা, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে বড় উদ্যোগ আসছে: রিজওয়ানা হাসান

২০২৫ অক্টোবর ২৫ ১৯:৩৪:২০

নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে বড় উদ্যোগ আসছে: রিজওয়ানা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার চারটি প্রধান নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে বড় উদ্যোগ আসছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এই নদীগুলোর জন্য একটি বিশেষ প্রকল্পের কাজ চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে।

শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদী ও আশপাশের ধাঁধার চর এলাকা পরিদর্শন শেষে ‘নদী ও পরিবেশকর্মীদের মিলনমেলা’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “ঢাকা শহরের চারটি নদী নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে যে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করেছি, তা ডিসেম্বরে পাস হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এই প্রকল্পে পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য পৃথক বাজেট, জনবল ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে তারা দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর নজরদারি চালাতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে আমরা ইতিমধ্যেই কঠোর বার্তা দিয়েছি। পলিথিনবিরোধী অভিযানও নিয়মিত চলছে। এখন দোকান বা সুপারমার্কেটে পলিথিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে নদীদূষণ রোধে একসাথে নানা উদ্যোগ নিতে হবে দূষণকারীদের সনাক্ত, তাদের সেন্ট্রাল ইটিপির আওতায় আনা বা প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।”

নদী ও পরিবেশ রক্ষায় সবার সম্মিলিত দায়িত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “কেবল সরকারি নজরদারি যথেষ্ট নয়। শিল্পমালিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। পয়ঃবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী না করলে নদীগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।”

তিনি শীতলক্ষ্যা নদীর ভয়াবহ দূষণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, “গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের শিল্পবর্জ্যের কারণে শীতলক্ষ্যা নদী মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এতে শুধু নদীর প্রাণ নয়, আশপাশের পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে।”

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “নদী বাঁচাতে স্থানীয় জনগণ, পরিবেশকর্মী ও সরকারের যৌথ উদ্যোগ জরুরি। সবাই মিলে কাজ করলে শীতলক্ষ্যা নদীকে আবারও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”

তিনি আরও যোগ করেন, “পরিবেশবাদীরা যেভাবে কাজ করছেন, তারা আমাকে সহায়তা করছেন। আমি আমার অবস্থান থেকে তাদের সহযোগিতা করে যাব। আমরা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করব।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইডেন দূতাবাসের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেস বেক্সস্ট্রম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রমুখ।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত