ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সম্মেলন চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বুধবার তিনি এ তথ্য জানান।
গভর্নর ড. মনসুর বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় গঠিত স্টার গ্রুপ গত বছর থেকেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে। স্টার গ্রুপের প্রধান কর্মকর্তাসহ তাদের প্রতিনিধিরা গত এক বছরে পাঁচ-ছয়বার ঢাকায় এসেছেন এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছেন। তিনি স্বীকার করেন যে এত বড় পরিসরে বিদেশ থেকে অর্থ উদ্ধারের অভিজ্ঞতা আগে না থাকায় নিজেদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।
ড. মনসুর জানান, সরকার এরই মধ্যে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে একটি জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করেছে। এই টিম বারোটি মামলার ভিত্তিতে তদন্ত করছে, যেখানে দুদক এবং সিআইডির মতো সংস্থাগুলোকে একটি সমন্বিত কো-অর্ডিনেশন টিমে আনা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের কাজ শেষ পর্যায়ে, যাতে দেশি-বিদেশি আদালতে এগুলো উপস্থাপন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়া জোরদারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন সংস্থাকে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যুক্ত করেছে। এসব সংস্থা সংশ্লিষ্ট বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে, যেখানে পাচার হওয়া অর্থ জমা রয়েছে। গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলোকে এসব আইন সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। যদি তারা সফলভাবে টাকা উদ্ধার করতে পারে, তবে পুনরুদ্ধারকৃত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ—যেমন ২০ শতাংশ—তাদের ফি হিসেবে রাখা হতে পারে, বাকি অংশ ফেরত আসবে বাংলাদেশে।
উদাহরণ হিসেবে ড. মনসুর সাইফুজ্জামানের লন্ডনে থাকা ৩৫০টি বাড়ির কথা উল্লেখ করেন, যার মধ্যে কয়েকটি এরই মধ্যে নিলাম প্রক্রিয়ায় গেছে। ইউসিবিএল ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী সরবরাহ করা হয়েছে, যারা লন্ডনে সফলভাবে দাবি (claim) দাখিল করেছেন। অকশন শেষে মর্টগেজ বাদ দিয়ে বাকি অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আসবে। তিনি জানান, এই প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি ধীরে হলেও তা বাস্তবসম্মত। লন্ডনে এখনো অনেক সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। একবার সফলভাবে নিষ্পত্তি হলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সিঙ্গাপুর, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তির (Mutual Legal Assistance Treaty) আওতায় অন্য দেশে থাকা সম্পদ উদ্ধারের পথও খুলে যাবে।
পাচার অর্থ উদ্ধারের অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনার জবাবে ড. মনসুর বলেন, "এটি একটি জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। অনেক দেশে এমন মামলার নিষ্পত্তিতে ১০-১২ বছর লেগেছে। আমরা এক বছরেই অনেক দূর এগিয়েছি, তাই অধৈর্য হওয়ার কিছু নেই।" তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "আমাদের লক্ষ্য ব্যাংকিং খাতকে টেকসইভাবে স্থিতিশীল করা। অর্থ ফেরত এলে সেটি হবে আমাদের জন্য ‘আইসিং অন দ্য কেক’।"
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল শেয়ারবাজারের খেতাব পেল বাংলাদেশ!
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- শেয়ারবাজারে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার নতুন তদন্তে বিএসইসি
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি ফেরাবে বিএসইসি’র নতুন নিয়ম
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান,ফ্রিতে দেখবেন যেভাবে
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- মার্জারের দুই ব্যাংকে ফেঁসে গেল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর