ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

শেয়ারবাজারের মহাধসেও ব্যতিক্রম চার কোম্পানি

হাসান মাহমুদ ফারাবী
হাসান মাহমুদ ফারাবী

রিপোর্টার

২০২৫ অক্টোবর ১৬ ০০:২৮:৫৭

শেয়ারবাজারের মহাধসেও ব্যতিক্রম চার কোম্পানি

হাসান মাহমুদ ফারাবী: সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার (১৫ অক্টোবর) শেয়ারবাজারে যে বিশাল পতন ঘটেছে, তাকে 'মহাধস' বললেও কম বলা হবে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক প্রায় ৮১ পয়েন্ট কমে যায়, যেখানে লেনদেন হওয়া মোট ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে এবং দাম বেড়েছে মাত্র ৩৩টির। এই চরম নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও চারটি কোম্পানি ব্যতিক্রমী চিত্র দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ কেড়েছে। এই চারটি বীমা খাতের কোম্পানি—বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স এবং সেনা ইন্স্যুরেন্স—গত এক বছরের মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন সম্পন্ন করেছে।

বাজারের এমন পরিস্থিতিতে যেখানে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন, সেখানে এই চার কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি একটি ইতিবাচক সংকেত। এমন পতনের দিনে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৪.৫১ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২.১৩ শতাংশ, সেনা ইন্স্যুরেন্সের ২.৫২ শতাংশ এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ০.৫৬ শতাংশ। বিশেষ করে পিপলস ইন্স্যুরেন্স ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা, এবং সেনা ইন্স্যুরেন্সের ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ৬৪ টাকা ৫০ পয়সা। এক বছরের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন করেছে। এই বর্ধিত চাহিদা প্রমাণ করে, বীমা খাতের এই বিশেষ কোম্পানিগুলোর প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বা বড় বিনিয়োগকারীদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

তবে এই উজ্জ্বল চিত্রের বিপরীতে একটি নেতিবাচক সতর্কতাও রয়েছে। সূচকের এত বড় পতনের দিনে মাত্র ৩৩টি কোম্পানির দাম বাড়া বাজারের সার্বিক দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করে। অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে এবং বাজারের প্রতি আস্থা কমছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই চার কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি সম্ভবত বিশেষ কোনো খাতের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি বা গুজবনির্ভর হতে পারে, যা বাজারের মূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রতিফলিত করে না।

সংক্ষেপে বলা যায়, শেয়ারবাজারের চলমান রক্তক্ষরণ বিনিয়োগকারীদের জন্য চরম দুশ্চিন্তার কারণ হলেও, এই চারটি বীমা কোম্পানির এক বছরের সর্বোচ্চ দাম লেনদেন হওয়া এই বার্তা দেয় যে, বাজারের গভীরে কিছু সুনির্দিষ্ট খাতে এখনও সুযোগ এবং আস্থা বিদ্যমান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের উচিত, সার্বিক বাজারের গতিবিধি দেখে এবং কোম্পানিগুলোর মৌলিক বিশ্লেষণ ও আগামী দিনের ব্যবসার সম্ভাবনা যাচাই করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত