ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

নেতানিয়াহুকে দুর্নীতির মামলা থেকে রক্ষাচেষ্টা ট্রাম্পের

২০২৫ অক্টোবর ১৩ ২০:২৬:১৪

নেতানিয়াহুকে দুর্নীতির মামলা থেকে রক্ষাচেষ্টা ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির তিনটি মামলায় তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

নেতানিয়াহু এবং তার স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের বিলাসপণ্য, যেমন সিগার, গয়না এবং শ্যাম্পেন উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। বিনিময়ে তারা রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নেসেটে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প রসিকতা করে বলেন, "সিগার আর শ্যাম্পেন; এসব নিয়ে মাথা ঘামায় কে?" এরপর তিনি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে "ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা" হিসেবে অভিহিত করেন। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, "প্রেসিডেন্ট, আমার কাছে একটা ধারণা আছে। আপনি কেন তাকে ক্ষমা করে দেন না?" তিনি আরও যোগ করেন, এই কথা তার লিখিত বক্তৃতার অংশ ছিল না, তবে তিনি নেতানিয়াহুকে বেশ পছন্দ করেন।

নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি মামলার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার সমর্থকরা এই বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। উপহার গ্রহণ ছাড়াও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুটি গণমাধ্যমের সঙ্গে অনুকূল সংবাদ প্রচারের জন্য গোপন সমঝোতার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

২০২২ সালের শেষ দিকে বর্তমান মেয়াদে নেতানিয়াহু বিচার বিভাগে ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করেছিলেন, যা সমালোচকদের মতে আদালতের ক্ষমতা দুর্বল করার একটি প্রচেষ্টা। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়, যা পরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হলে থেমে যায়।

এছাড়াও, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে। তবে, নেসেটে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প আইসিসির এই মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, যদিও যুক্তরাষ্ট্র এর আগে আইসিসির পরোয়ানার নিন্দা এবং সংস্থাটির কিছু কর্মীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত