ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২

পিআর ও উচ্চকক্ষ: কূটনীতি ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের লড়াই      

২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১৬:৩৩:৫৬








পিআর ও উচ্চকক্ষ: কূটনীতি ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের লড়াই




 
 



 

নিজস্ব প্রতিবেদক :বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ: জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে?’ শীর্ষক সংলাপে পিআরের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপি পিআরের পক্ষে নয় এবং এটি তারা গ্রহণ করেন না। তিনি যুক্তি দেন, উচ্চকক্ষ থাকলে এটি সংসদকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে পারে, তবে কীভাবে হবে তা আলোচনার বিষয়। নির্বাচিত রাজনৈতিক দলগুলো যদি সত্যিই একটি জবাবদিহিমূলক সংসদ গঠনের লক্ষ্য রাখে, তাহলে পিআর রাখার বা না রাখার বিষয়টি তেমন গুরুত্ব বহন করবে না। তিনি আরও বলেন, উচ্চকক্ষের সদস্য হিসেবে সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যারা দেশের স্বার্থে আলোচনার মাধ্যমে সংসদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

অন্যদিকে আখতার হোসেন বলেন, পূর্বে আওয়ামী লীগের শাসনামলে স্বৈরশাসনকে বৈধতার আড়ালে আনা হতো। তিনি বলেন, উচ্চকক্ষে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স তৈরি করা সম্ভব হবে, যদি সেখানে ভোটের পিআর অনুপাতে প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন। এই শর্ত না থাকলে উচ্চকক্ষের সুবিধা নিয়ে আলাপের প্রয়োজন নেই।

সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য দেন।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত