ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব: টিকাদান ও সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক :বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদিপশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগের প্রাদুর্ভাবের পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রোগের বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণে জরুরি ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত জুনোটিক রোগ, যা গবাদিপশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। এ কারণে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবং প্রশাসনের সমন্বয়ে গবাদিপশুর টিকাদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উঠান বৈঠক, পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গবাদিপশুর অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রকাশসহ সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করেছে। মাঠ পর্যায়ে আক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ, অসুস্থ পশু জবাই প্রতিরোধ এবং খামারের প্রতিটি পশুকে টিকার আওতায় আনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘ওয়ান হেলথ’ কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত উঠান বৈঠক ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছেন- অসুস্থ পশু জবাই না করা, মৃত পশুকে খোলা স্থানে বা পানিতে না ফেলা বরং গভীরভাবে মাটিচাপা দেওয়া, এবং পশুজনিত অসুস্থতার ক্ষেত্রে দ্রুত নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপাতাল বা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রংপুর ও গাইবান্ধা জেলাকে অ্যানথ্রাক্সের বেশি আক্রান্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (এলআরআই) রংপুর বিভাগে প্রায় ৩০ লক্ষ অ্যানথ্রাক্স টিকা সরবরাহ করবে, যার মধ্যে ২০ লক্ষ টিকা রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় ব্যবহৃত হবে। রংপুর জেলার নয়টি উপজেলায় মোট ১,৬৭,০০০ গরুতে টিকা প্রয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬,৪০০ গরুতে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন কসাইখানায় ৩৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে এবং গবাদিপশুতে টিকা প্রদানের জন্য ৩২টি মেডিক্যাল টিম কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আক্রান্ত এলাকায় দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গরু পুঁতে ফেলা, টিকাদান, মাইকিং, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৫টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। রক্তের ১১টি নমুনা পরীক্ষায় সবগুলো নেগেটিভ হলেও সংগৃহীত ১১টি মাংসের নমুনার মধ্যে ১০টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় সংক্রমণের উৎস ও পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে, যা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করবে।
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
ডুয়া/নয়ন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের যুগান্তকারী ঘোষণা
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডুবছে ওষুধের দুই কোম্পানি, বিনিয়োকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- শেয়ারবাজারের কোম্পানিতে কারসাজির গন্ধ! তদন্তে নেমেছে বিএসইসি
- ঢাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে জাপান, আবেদন করবেন যেভাবে
- উৎপাদন বন্ধ চার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সতর্কতা জারি
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা
- মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বিএসইসির বড় পদক্ষেপ, আসছে নতুন নিয়ম
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে ২ কোম্পানি