ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২

বিতর্কের মধ্যেই এসওয়াতিনিতে নির্বাসিত ব্যক্তিদের পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

২০২৫ অক্টোবর ০৭ ০৯:৪২:৫৬

বিতর্কের মধ্যেই এসওয়াতিনিতে নির্বাসিত ব্যক্তিদের পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার সংক্রান্ত সমালোচনার মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ এসওয়াতিনিতে দ্বিতীয় দফায় নির্বাসিত ব্যক্তিদের পাঠিয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) দেশটির সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসওয়াতিনিতে ১০ জন নির্বাসিত ব্যক্তি পৌঁছেছেন, যাদের কেউই দেশটির নাগরিক নন।

জুলাই মাসে প্রথম দফায় এসওয়াতিনিতে আরও পাঁচজন নির্বাসিত ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছিল। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সর্বশেষ পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, যেমন হত্যা ও ধর্ষণ। তবে তাদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি।

মার্কিন অভিবাসন আইনজীবী টিন থান নুয়েন জানিয়েছেন, নির্বাসিতদের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামের তিনজন, ফিলিপাইনের একজন ও কম্বোডিয়ার একজন। তিনি জানান, সোমবার পাঠানো দুইজনের এবং পূর্বে পাঠানো আরও দুজনের পক্ষে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন, কিন্তু বর্তমানে তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।

নুয়েন আরও বলেন, “আমরা ফোন বা ইমেল করতে পারছি না। স্থানীয় আইনজীবীর মাধ্যমে যোগাযোগও সম্ভব নয়, কারণ এসওয়াতিনি সরকার আইনজীবীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে।”

মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রথম দফার নির্বাসিতদের প্রতি আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, নির্বাসিতদের একাকী কারাগারে রাখা হয় এবং আইনজীবীর সহায়তা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

আইনগত কারণে নিজ দেশে ফেরানো সম্ভব না হলে ট্রাম্প প্রশাসন ‘তৃতীয় দেশ’ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছে। এই প্রক্রিয়ায় এমন দেশে নির্বাসিতদের পাঠানো হয় যেখানে তাদের নাগরিকত্ব বা সামাজিক কোনো সম্পর্ক নেই।

মানবাধিকার কর্মীরা এই নীতিকে ‘অমানবিক ও আইনি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, নির্বাসিতরা এমন দেশে আটকা পড়ছেন যেখানে ভাষাগত সমস্যা, আইনি সহায়তা সংকট এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি রয়েছে।

এসওয়াতিনির মানবাধিকার কর্মীরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের গোপন চুক্তি নিন্দা করে তা বাতিলের দাবিতে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে দেশটির সংশোধনাগার বিভাগ জানিয়েছে, তারা হেফাজতে থাকা সকল ব্যক্তির সঙ্গে ‘মানবিক আচরণ’ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এবং নিরাপদে রাখবে যতক্ষণ না তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত