ঢাকা, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে আক্রান্ত ১১

২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২০:৫০:৪২

গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে আক্রান্ত ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত গ্রামে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস কাটার সঙ্গে যুক্ত আরও সাতজনের শরীরে উপসর্গ শনাক্ত হয়েছে। এর আগে একই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত চারজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ ধরা পড়ে। শনিবার পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়ে মোট ১১ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার রাতে আক্রান্ত সাতজন চিকিৎসা নিতে গাইবান্ধা শহরের রাবেয়া ক্লিনিকে যান। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনজুরুল করিম তাদের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ শনাক্ত করেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আক্রান্তদের কেউ ভর্তি হননি, ফলে তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

ডা. মনজুরুল করিম জানান, সাধারণত আক্রান্ত পশুর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্স মানবদেহে ছড়ায়। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় এটি সেরে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে কিশামত গ্রামে একটি অসুস্থ গরু জবাই করা হয়। ওই কাজে গ্রামের ১১ জন অংশ নেন। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরে ফোসকা ও মাংস পচনের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আক্রান্তদের হাত, নাক, মুখ ও চোখে এসব চর্মরোগের লক্ষণ পাওয়া গেছে।

প্রথম চারজন আক্রান্ত হলেন—মোজা মিয়া (৫৬), মোজাফফর মিয়া (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৫০) ও মাহবুর রহমান (৫৫)। তারা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মোজাম্মেল হক বলেন, কিশামত গ্রামসহ আশপাশের ইউনিয়নে ইতোমধ্যে গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. রকিবুজ্জামান জানান, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্তদের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে চর্মরোগ। কারও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন রোগী ভর্তি হয়নি।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত