ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

বেনজীরের লুটের ছায়ায় এনায়েত করিমের অজানা গন্তব্য

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৪:৪৪:৪১

বেনজীরের লুটের ছায়ায় এনায়েত করিমের অজানা গন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে। আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ শুনানি শেষে এ রিমান্ড আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সকালেই এনায়েত করিম চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম তাকে গ্রেফতার দেখানোসহ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

মামলা দায়ের করা হয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি। এ মামলায় বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা ও দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন করেন, তবে তা কোথাও বিনিয়োগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নগদ অর্থ উত্তোলনের পরই তিনি বিদেশে চলে যান। এর মাধ্যমে তিনি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যরা ২০২৪ সালে দীর্ঘদিনের এফডিআর হিসাব মেয়াদোত্তীর্ণের আগেই উত্তোলন করেছেন, যাদের গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া যায়নি। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, বেনজীর তাঁর উচ্চপদে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ অর্জন করেছেন। এর আগে গত ডিসেম্বরে ৭৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করা হয়েছিল।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত