ঢাকা, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

ম্যাচ নয়, এবার মহাযু’দ্ধ : ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৬ ১৫:১৬:১৮

ম্যাচ নয়, এবার মহাযু’দ্ধ : ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক :নিঃসন্দেহে ক্রিকেটবিশ্ব এখন অপেক্ষায় আরেকটি উত্তেজনাপূর্ণ মহারণের। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। চলতি আসরে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো মাঠে নামবে দুই দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কার্যত সেমিফাইনাল ছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচটি। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় পাকিস্তান।

বাংলাদেশের জন্য ছিল কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। দুবাইয়ে টানা দুই দিন খেলতে হয়েছে টাইগারদের। বুধবার ভারতের বিপক্ষে, আর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামে তারা। টানা ম্যাচের ধকল স্পষ্টভাবেই পড়েছে ক্রিকেটারদের শরীরে। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার লিটন দাস ছিলেন না দুই ম্যাচেই, যা স্পষ্ট প্রভাব ফেলেছে দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে। যদিও বল হাতে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ, কিন্তু জয় হাতছাড়া হয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে অর্ধশতক করা সাহিবজাদা ফারহান ফিরে যান মাত্র ৪ রানে। এদিনও প্রথম ওভারেই তার বিদায় হয়, রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। টানা চতুর্থ ম্যাচেও রানশূন্য থেকে যান সাইম আইয়ুব। ব্যর্থ হন ফখর জামান (১৩), সালমান আলী আগা (১৯) ও হুসেইন তালাত (৩)। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে রক্ষা করেন লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা।

ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন মোহাম্মদ হ্যারিস (৩১), মোহাম্মদ নওয়াজ (২৫), শাহীন আফ্রিদি (১৯) ও ফাহিম আশরাফ (১৪)। শেষ ৮ ওভারে ৮০ রান তুলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। যদিও শুরুতে মনে হচ্ছিল ১০০ রানও হয়তো তুলতে পারবে না তারা। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের কয়েকটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান।

১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। শাহীন আফ্রিদির প্রথম বলেই শূন্য রানে ফিরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ভালো শুরু করেছিলেন সাইফ হাসান, মারেন দুটি ছক্কা। কিন্তু হ্যারিস রউফের বল বুঝতে না পেরে আউট হয়ে যান তিনিও। এরপর ব্যাটিং ধসে পড়ে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। বাকিরা কেউই দাঁড়াতে পারেননি।

পাকিস্তানের দুই পেসার শাহীন আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফ নেন ৩টি করে উইকেট। স্পিনার সাইম ও নওয়াজও তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। টাইগার ব্যাটাররা একের পর এক ভুল করে দ্রুত উইকেট হারান। কেউই সময় নিয়ে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেননি। ফলে ১৩৬ রানের লক্ষ্যও ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের।

এই জয়ের ফলে এশিয়া কাপ ২০২৫ সালের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান মহারণ নিশ্চিত হলো। চলতি আসরে আগের দুই দেখায় জিতেছে ভারত। এবার কি পাকিস্তান প্রতিশোধ নিতে পারবে, নাকি সূর্যকুমার যাদবরা করবেন হ্যাটট্রিক জয়? তিন দিন পর এই উত্তরের জন্য অপেক্ষায় থাকছে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব।

ডুয়া/ নয়ন

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত