ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

ফের রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ২২:২২:৩৪

ফের রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা বেশি। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক খবর।

তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি 'বিপিএম-৬' অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবে স্বল্পমেয়াদি দায়গুলো বাদ দেওয়া হয়, যা রিজার্ভের প্রকৃত অবস্থা নির্দেশ করে।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর দেড় বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) কে পরিশোধ করা হয়েছিল। তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখন আবার ৩১ বিলিয়নের ঘরে রিজার্ভ ফিরে এসেছে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভ বর্তমানে ২১ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় চার মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন, সেদিক থেকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের নজিরবিহীন অর্থপাচার এবং বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় (রিজার্ভ) বড় ধরনের চাপের মুখে পড়ে। বড় বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ে ক্রমাগত চলতি হিসাবের ঘাটতিও বেড়েছিল বাংলাদেশের। ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হতে থাকলে এর প্রভাব পড়ে জ্বালানির দর ও আমদানিতে। এই সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে, যার ফলে আস্তে আস্তে রিজার্ভ তলানিতে নামে। ওই সময় রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা নিতে আইএমএফ-এর কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়ে ২০২২ সালের জুলাইতে আবেদন করেছিল। বর্তমান রিজার্ভ বৃদ্ধি সেই চাপ থেকে পুনরুদ্ধারের একটি লক্ষণ।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত