ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

২২টি দলকে ত্রুটি-ঘাটতি পূরণের নির্দেশ ইসির

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ ২৩:১৫:৫৩

২২টি দলকে ত্রুটি-ঘাটতি পূরণের নির্দেশ ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রম নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চলছে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ অন্তত ২২টি দল উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে, এসব দলের কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে তদন্তের পর অনেক ক্ষেত্রেই ত্রুটি-ঘাটতি ধরা পড়েছে, যা পূরণের জন্য ইসি দলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধন পেতে আগ্রহী এমন ২২টি দলের মাঠপর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের হাতে এসেছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিবালয়ে নিবন্ধন প্রত্যাশী ১৩টি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ইসি নতুন দলগুলোর ত্রুটি-বিচ্যুতির বিষয়ে তাদের অবগত করে এবং আগামীকালের (সোমবার) মধ্যে ঘাটতি পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়।

ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, "২২টি দলের তথ্য যাচাইয়ের জন্য মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছিল। সবগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে এসেছে। কমিশন নতুন দলকে নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে নেই। পরবর্তীতে যাতে দোষারোপ করতে না পারে, তাই দলগুলোকে আবার ডেকে তাদের কথা শোনা হচ্ছে।" তিনি জানান, অনেক দলের কার্যালয়ের ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলায় কোনো অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য যাচাইয়ের জন্য কমিশন দলগুলোর মতামত নিচ্ছে।

নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), আম-জনতার দল, নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি), বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জাতীয় জনতা পার্টি (ওসমানী), মৌলিক বাংলা, জনতার দল, বাংলাদেশ বেকার সমাজ, জাসদ (শাহজাহান সিরাজ), ফরওয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির প্রতিনিধিরা ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

মৌলিক বাংলার সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ সাকী বলেন, তারা নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন এবং নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

এদিকে, বাংলাদেশ বেকার সমাজ এর আগেও আবেদন করে নিবন্ধন না পাওয়ায় ২০২৩ সালে ইসির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। দলটি জানিয়েছে, যদি এবার তারা নিবন্ধন পায়, তাহলে মামলা তুলে নেবে; অন্যথায় মামলা চলমান থাকবে। দলটির সভাপতি মো. হাসান বলেন, "আমরা নিবন্ধন পেলে মামলা তুলে নেবো। নিবন্ধন না পেলে মামলা চলমান থাকবে।"

গত ২২ জুন পর্যন্ত নিবন্ধন পেতে ইসিতে আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই শর্ত পূরণ করতে না পারায় ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। ৩ আগস্ট শেষ সময় পর্যন্ত এনসিপিসহ ৮৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শর্ত পূরণের তথ্য জমা দেয়, যার মধ্যে ২২টি দল প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হয়।

বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার পর ৫৫টি দল নিবন্ধন পেলেও পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। ইসির নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ দলীয় প্রতীকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে না।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত