ঢাকা, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২
প্রবাসীরা যেভাবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিবেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত প্রবাসী ভোটার এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারী (এনআইডি) বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াকে সহজ ও কার্যকর করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (এএফডি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ডাকবিভাগ, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা (এসবি) এবং জন্মসনদ নিবন্ধনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সমন্বয় করে কাজ করবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হবে, যা পরীক্ষামূলকভাবে ১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চালানো হবে। এর মাধ্যমে আউটকান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) ও ইনকান্ট্রি ভোটিং (আইসিপিভি) নিবন্ধন ও ট্র্যাকিং মডিউলের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। ১ অক্টোবর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ওসিভি ও আইসিপিভি-এর জন্য প্রচারণা, উদ্ভুদ্ধকরণ ও ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে ইসি।
ব্যালট পেপার, নির্দেশিকা ও ঘোষণাপত্র মুদ্রণ করা হবে ১ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে। ১১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওসিভি ও আইসিপিভি-এর জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। ডাক বিভাগ খামের কাস্টমাইজেশন করবে এবং ২০ নভেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারির মধ্যে ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ শেষ হলেও ভোটাররা ওসিভি ও আইসিপিভি-এর আওতায় ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচনের একমাস আগে ভোট প্রদান ও ব্যালট পেপার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। এরপর কমিশন প্রতিটি ব্যালটে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার নাম লিখে সিল করে পাঠাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে 'দেশের বাইরে ভোটদান সিস্টেম উন্নয়ন এবং বাস্তবায়ন' শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান এল মাছউদ জানান, নতুন সিস্টেমে পোস্টালে একটি স্ট্যাম্প লাগানো হবে। ভোটাররা বিদেশ থেকে অথবা দেশ থেকে অনলাইনে ওয়েবসাইটে ঢুকে নাম তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। আগে ব্যালট পেপার ফেরত আসত না বা ভোট দিতে পারত না, এখন ব্যালট পেপার না দিয়ে যত মার্কা আছে সব মার্কা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, এবং ভোটাররা মার্কা অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, একটি পোস্টাল ব্যালট আনা-নেওয়া করতে সরকারিভাবে প্রায় ৫০০ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। ডাক বিভাগ জানিয়েছে, তাদের ইএমএস/রেজিস্টার্ড সার্ভিসে একজন ভোটারের ব্যালট পেপার প্রবাসে পাঠানো এবং ফেরত আনতে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা খরচ হতে পারে। বেসরকারি প্রতিনিধিরা ১২ দিনের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট প্রবাসে ভোটারের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং ভোট শেষে ফেরত আনার আশ্বাস দিয়েছেন, যার জন্য প্রায় ৪০-৪৫ ডলার খরচ হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আদালতের আদেশে এক যুগ পর চাকরি ফিরে পাওয়া ৬০ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে শুধু পোস্টাল ব্যালটের জন্য প্রবাসীদের ভোটাধিকারের কাজে সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে। তিনি পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতিকে ব্যয়সাপেক্ষ বলে উল্লেখ করেন, যেখানে আনা-নেওয়া এবং ছাপানোর খরচ রয়েছে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- হরলিকসের জোয়ারে ইউনিলিভারের মুনাফায় দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল