ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২

শেষ প্রান্তিকে ভোক্তা ঋণ ১৭% বেড়ে রেকর্ডে

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১৫:৪৭:৩৫

শেষ প্রান্তিকে ভোক্তা ঋণ ১৭% বেড়ে রেকর্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) ভোক্তা খাতে ঋণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এ সময় খাতে ঋণ বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা তার আগের প্রান্তিকের (জানুয়ারি–মার্চ) তুলনায় ১৭ শতাংশেরও বেশি। যদিও ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় মার্চ প্রান্তিকে বৃদ্ধি ছিল মাত্র ১.৮১ শতাংশ।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সময়ের গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯ শতাংশ ছিল, যা সাধারণভাবে সহনীয় নয়। তবে টিভি, ফ্রিজ ও কম্পিউটারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে মানুষের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ঋণ গ্রহণের প্রবণতা তীব্র হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ভোক্তা ঋণ ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এটি ৩.৭৩ শতাংশ বেড়ে এক লাখ ৪৪ হাজার ৮২৬ কোটি, তৃতীয় প্রান্তিকে ১.৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এক লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৫ কোটি, এবং সর্বশেষ এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ১৭.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ৬২১ কোটি টাকায়।

ভোক্তা ঋণ সাধারণত অভিজাত ও বিলাসী পণ্য, দৈনন্দিন খরচ, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিয়ে, ভ্রমণ, বাড়ি-গাড়ি ক্রয় ও বড় আয়োজনের জন্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া ঋণও অন্তর্ভুক্ত।

ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ঋণ দিচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষ তিন মাসে সবচেয়ে বেশি ঋণ ব্যবহৃত হয়েছে টিভি, ফ্রিজ ও কম্পিউটার ক্রয়ে—মোট ৯ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া ফ্ল্যাট কেনা (৮৮৪ কোটি), পরিবহন ঋণ (১,৮২৫ কোটি), শিক্ষাঋণ (১,১২১ কোটি), চিকিৎসা (৩১ কোটি), বিবাহ (১৬ কোটি), জমি ক্রয় (৫১১ কোটি), বেতনের বিপরীতে ঋণ (১,২৫৬ কোটি), প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিপরীতে ঋণ (১,৪৯১ কোটি), মেয়াদি ও স্থায়ী আমানতের বিপরীতে যথাক্রমে ১,১৫১ কোটি ও ২,৬৯২ কোটি টাকা ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ তথ্য থেকে বোঝা যায়, মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি এবং উচ্চ সুদ সত্ত্বেও ঋণ গ্রহণের প্রবণতা তীব্র হচ্ছে, যা ভোক্তা খাতে ঋণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নির্দেশ করছে।

নয়ন

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত