ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২

লালনশিল্পী ফরিদা পারভীন লাইফ সাপোর্টে

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ০০:৫৭:০৮

লালনশিল্পী ফরিদা পারভীন লাইফ সাপোর্টে

বিনোদন ডেস্ক: দেশবরেণ্য লালন-সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাকে চিকিৎসা দেওয়া হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন এবং তাকে সপ্তাহে দুইদিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে গত ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, "রোগীর রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে, সংক্রমণ বেড়ে গেছে। কিডনি জটিলতা তো আছেই। সবমিলিয়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।" ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এর আগে ফরিদা পারভীনের স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম জানিয়েছিলেন, "সার্বিকভাবে তার অবস্থা খুব একটা ভালো না। গত কয়েক মাসে চারবার আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ফুসফুস আর কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল থাকে, উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি পান না, হাঁটতেও পারেন না। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।"

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ফরিদা পারভীন ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েড জটিলতাসহ নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে লালনগীতির তালিম নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হন। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৮৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন। নতুন প্রজন্মকে লালনের গান শেখাতে তিনি ‘অচিন পাখি স্কুল’ গড়ে তুলেছেন।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত