ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাথাব্যথার ১১ শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক শেয়ারের দাম দ্বিগুণেরও বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে। তবে উল্টো চিত্রও রয়েছে বাজারে। বেশ কিছু কোম্পানির দর এখনও ধারাবাহিক দরপতনের বৃত্তে আটকে আছে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি সময়ে এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হচ্ছে মোট ১১টি শেয়ার। এগুলো হলো—ফ্যামিলি টেক্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, জিএসপি ফাইন্যান্স, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
শেয়ারগুলোতে দরপতন বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যামিলি টেক্সের দর ৪৭ শতাংশ কমে সর্বশেষ ১ টাকা ৯০ পয়সায়, ফারইস্ট ফাইন্যান্স ৬৯ শতাংশ কমে ১ টাকা ৬০ পয়সায়, ফাস ফাইন্যান্স ৬৫ শতাংশ কমে ১ টাকা ৫০ পয়সায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৬১ শতাংশ কমে ১ টাকা ৬০ পয়সায় এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৬৬ শতাংশ কমে ২ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে, জিএসপি ফাইন্যান্সের দর ৭৩ শতাংশ কমে ৩ টাকা ১০ পয়সায়, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ৩১ শতাংশ কমে ২ টাকা ৪০ পয়সায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ৬১ শতাংশ কমে ১ টাকা ৮০ পয়সায়, পিপলস লিজিং ৬৫ শতাংশ কমে ১ টাকা ৩০ পয়সায়, প্রিমিয়ার লিজিং ৬২ শতাংশ কমে ১ টাকা ৮০ পয়সায় এবং ইউনিয়ন ব্যাংক ৬৬ শতাংশ কমে ২ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি এবং কোম্পানিগুলোর স্থিতিশীলতার অভাব শেয়ার দর পতনের মূল কারণ। অনেক ব্যাংক মার্জার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, আর কিছু আর্থিক কোম্পানি কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। এ কারণে ১০ টাকার শেয়ার এখন মাত্র কয়েক টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।
বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ধারা প্রত্যাশা করলেও এই ধরণের ধারাবাহিক দরপতন তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আর্থিক খাতের শেয়ারগুলো দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি নতুন নিয়ন্ত্রক পদক্ষেপ ও আর্থিক সংস্কারের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ধীরে ধীরে শেয়ারবাজার চাঙ্গা হতে পারে। দরপতন সঠিক সময়ে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগও দিতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য মূল বার্তা হলো সতর্ক থাকা, বাজার পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনা বিবেচনা করা।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার