ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২
‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল হয়নি’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)-এর চেয়ারম্যান ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ মন্তব্য করে বলেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। তার মতে, দুর্নীতি এখনো বিদ্যমান। তবে এটি বেড়েছে নাকি কমেছে সে বিষয়ে মন্তব্য করার মতো সময় এখনো আসেনি।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। টিআই প্রধানের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে এ আয়োজন করে টিআইবি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রধান ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ বলেন, আমাদের অবশ্যই জানতে হবে, অর্থ কোথায় রয়েছে এবং কার মালিকানায়। কেবল তখনই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কার্যকর হবে।
তিনি আওয়ামী লীগ আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, ক্ষমতা জনগণের সেবা করতে ব্যবহৃত হয়নি বরং মুনাফা অর্জনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে বৈশ্বিক দুর্নীতির অর্থনীতির অংশ হয়ে গেছে।
টিআই-এর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এই পাচারকৃত অর্থের বড় অংশ অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্ম এবং ট্যাক্স হেভেনের মাধ্যমে দুবাই, সিঙ্গাপুর, হংকং, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আর্থিক কেন্দ্রগুলোতে চলে গেছে। এসব অর্থ সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যবহার না হয়ে রিয়েল এস্টেট ও বিলাসবহুল সম্পত্তিতে বিনিয়োগ হয়েছে।
সম্প্রতি লন্ডনে ১৮৫ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ হওয়াকে তিনি ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। ভ্যালেরিয়াঁ বলেন, এটি প্রমাণ করে যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ফল দিতে পারে। তবে চ্যালেঞ্জ হলো, নিশ্চিত করা যে এই অর্থ বিদেশি ব্যাংকে আটকে না থেকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফিরে আসে।
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, বাজেয়াপ্ত অর্থ অবশ্যই নাগরিকদের কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত এবং তা সুশীল সমাজের নজরদারিতে জনগণের হাতে পৌঁছানো উচিত।
ভ্যালেরিয়াঁ বাংলাদেশে উপকারী মালিকানা স্বচ্ছতাবিষয়ক খসড়া আইন দ্রুত পাসের আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, এই আইন শেল কোম্পানির আড়ালে থাকা প্রকৃত মালিকদের চিহ্নিত করবে, যারা প্রায়ই অবৈধ অর্থ পাচারে জড়িত থাকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। নাগরিকদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। চুরি করা সম্পদ ফেরত আনা যেমন ন্যায়বিচারের বিষয়, তেমনি এটি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতারও ভিত্তি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা