ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২
রোহিঙ্গা সংকটে আসিয়ানকে সতর্ক করল এপিএইচআর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃকক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর প্রতি জরুরি সমষ্টিগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর)। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, যদি আঞ্চলিক দেশগুলো তৎপর না হয়, তাহলে মানবপাচার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান এবং শরণার্থীর অনুপ্রবেশের মতো ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে, যা পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এপিএইচআর এই আহ্বান জানায়।
তারা বাংলাদেশের সরকারকে রোহিঙ্গাদের আতিথ্য ও সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানায় এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ফলাফলের কথা তুলে ধরে। এই বৈঠকে সংকটের টেকসই সমাধান এবং অনুসন্ধানের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তাদের প্রথম বাস্তবতা যাচাই সফরের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা শিবিরের জীবনযাপন, বিশেষত আসন্ন খাদ্য সংকটের বিষয়ে আসিয়ান ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবহিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে যে, ২০২৫ সালের নভেম্বরের পর খাদ্য বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে যদি প্রতি মাসে ১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার তহবিল না জোগাড় হয়।
এপিএইচআর অবিলম্বে একটি আঞ্চলিক মানবিক তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে, যা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ক্ষুধা প্রতিরোধ এবং জীবনরক্ষাকারী সহায়তা প্রদানে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া সংস্থাটি রোহিঙ্গা শিশু ও যুবকদের জন্য স্বীকৃত স্কুল শিক্ষা এবং কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য আসিয়ানকে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এপিএইচআর প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, ফিলিপাইন সরকারের উদ্যোগে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদানের প্রশংসা করা হয়েছে। সংস্থার সদস্যরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার আট বছর পেরিয়েও আসিয়ান এখনো এই সমস্যাকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিচ্ছে না। যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, মানব পাচার, অবৈধ বাণিজ্য ও অস্থিতিশীলতা গোটা অঞ্চলের জন্য হুমকি তৈরি করবে।
মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এপিএইচআর প্রতিনিধি দল ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছে। তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর