ঢাকা, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

দেশে সয়াবিন-পাম তেলে ২০ গুণ বেশি হেভিমেটাল, নষ্ট হচ্ছে যেসব অঙ্গ

২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৮:৫৯:১৩

দেশে সয়াবিন-পাম তেলে ২০ গুণ বেশি হেভিমেটাল, নষ্ট হচ্ছে যেসব অঙ্গ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া সয়াবিন ও পাম তেলে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০ গুণ বেশি মার্কারি (হেভিমেটাল) পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই উপাদান মানুষের নার্ভাস সিস্টেম, কিডনি, হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালীকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য প্রকাশ করেন মাহবুব কবীর মিলন।

তিনি লেখেন, সকালেই একটা শুভ সংবাদ দিচ্ছি! আমাদের সয়াবিন ও পাম তেলে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০ গুণ বেশি মার্কারি পাওয়া গেছে। এই মার্কারি আমাদের নার্ভাস সিস্টেম, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও রক্তনালী ধ্বংস করে দেয়।

তিনি জানান, সারা বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা ১,৫২১টি সয়াবিন ও পাম তেলের নমুনা পরীক্ষা করা হয় কয়েক বছর আগে, এবং এর ফলাফল প্রকাশিত হয় গত বছর। এ গবেষণার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমা শাহীন যুক্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাবেক এই সচিব ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, গবেষণা হলো, জার্নাল প্রকাশ হলো কিন্তু এরপর? কেউ কি কিছু বলল? কোনো পত্রিকা, নিউজ, আলোচনা, হৈচৈ? বিএসটিআই, ফুড সেইফটি অথোরিটি বা সরকার কি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? নেয়নি। কারণ ব্যবসায়ী স্বার্থ জড়িত।

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, দেশে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের হার্ট অ্যাটাক বেড়ে যাওয়ার পেছনে এই মার্কারি দূষণই কি বড় কারণ নয়?

মাহবুব কবীর মিলন তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, দেশে প্রায় চার কোটি কিডনি রোগী রয়েছেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমি বিএসটিআইকে চিঠি দিয়েছিলাম সয়াবিন তেলের মানদণ্ড (স্ট্যান্ডার্ড) পরিবর্তন করতে। সেখানে বলেছিলাম, ‘সিনথেটিক ক্লে’ নয়, বরং ‘আর্থ গ্রেড ক্লে’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে, কারণ সিনথেটিক ক্লে থেকেই আসে হেভিমেটাল। তার দাবি, বিএসটিআই জানিয়েছে যে সয়াবিন তেলে হেভিমেটাল পরীক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও এতদিন কখনও তা করা হয়নি।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত