ঢাকা, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মোবাইল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ জরুরি, পরামর্শ গবেষকদের
কিশোর বয়সে সন্তানদের অবসাদের ঝুঁকির পেছনে একটি নির্দিষ্ট অভ্যাসকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, আর তা হলো সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানো। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এই সাধারণ অভ্যাসকে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্ণতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও পড়াশোনার চাপ, কটাক্ষ বা হরমোনের তারতম্যের মতো আরও কিছু কারণেও ছোটদের মধ্যে অবসাদ দেখা দিতে পারে, তবে গবেষকরা বলছেন যে, সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবের ওপর অনেক সময়ই গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
প্রায়শই অভিভাবকরা সন্তানের অবসাদের মূল কারণ বুঝতে পারেন না। কৈশোরে পা দেওয়ার আগেই ছোটদের মনে নানা ধরনের চাপ তৈরি হতে পারে, আর এর পেছনের কারণ অনুসন্ধানে অনেক সময়ই ব্যর্থ হন অভিভাবকরা।
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার পেডিয়াট্রিকস বিভাগের একদল গবেষক ছোটদের অবসাদ নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। ‘জামা নেটওয়ার্ক’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, কৈশোরে পা দেওয়ার আগের বছরগুলোতে সামাজিক মাধ্যমই ছোটদের অবসাদের জন্য দায়ী।
গবেষকরা জানতে চেয়েছিলেন যে, সামাজিক মাধ্যমের কারণেই কি ছোটরা অবসাদে আক্রান্ত হচ্ছে, নাকি অবসাদে আক্রান্তরা বেশি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তারা তিন বছর ধরে ১২ হাজার ছেলেমেয়ের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করার কারণেই অনেক কিশোর অবসাদে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার পর তারা বেশি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেনি। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, প্রথম বছরে যে কিশোররা দিনে ৭ মিনিট সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করত, দ্বিতীয় বছরে তা বেড়ে ৭৩ মিনিটে দাঁড়িয়েছে। সামগ্রিকভাবে, এর ফলে ছোটদের অবসাদের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অধ্যাপক জেসন নাগাটা বলেন, "আমরা জানতে পেরেছি যে, কৈশোরের প্রাক্কালে সামাজিক মাধ্যমের ক্রমাগত ব্যবহার ছোটদের অবসাদের অন্যতম প্রধান কারণ।"
এই প্রসঙ্গে ‘দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ’ জার্নালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণাপত্রে জানা গেছে, ১১ থেকে ১২ বছর বয়সী যেসব শিশু নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হয়েছে, তারা একজন সাধারণ শিশুর তুলনায় ২.৬২ শতাংশ বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ মানসিকতার কথা প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে ‘দ্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস’ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছেন, কৈশোরে প্রবেশের আগে ছোটদের মোবাইল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা উচিত। এর জন্য বাবা-মায়েদেরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে বাবা-মায়েরাও বাড়িতে মোবাইলের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করে শিশুদের শেখাতে পারেন। পাশাপাশি, ছোটদের সামাজিক মাধ্যমের নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে সতর্ক করা গেলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ২য় T-20: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখুন এখানে
- শীতকালীন ছুটি বহাল থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ২য় টি-টোয়েন্টি: কবে, কোথায়, কখন-দেখুন সময়সূচি
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডের ফাইনাল টি-২০ ম্যাচ: সরাসরি দেখুন এখানে(LIVE)
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ২য় T-20-সরাসরি দেখার উপায়
- আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মুখোমুখি বাংলাদেশ, জেনে নিন সময়সূচি
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: ৩য় টি-২০ ম্যাচটি শেষ, জানুন ফলাফল
- ভূমিকম্প: আবারও ৪.২ মাত্রার কম্পন
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডের ৩য় ম্যাচ: কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন সরাসরি
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: ব্যাটিংয়ে টাইগাররা-সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর-LIVE
- ভয়াবহ ভূমিকম্প: কম্পন ৬ মাত্রার
- ঢাকা বোর্ডে এইচএসসির বৃত্তির তালিকা প্রকাশ, দেখুন তালিকা
- দেশে ফের মধ্যরাতে ভূমিকম্প অনুভূত
- বাংলাদেশ বনাম আজারবাইজান: ৩ গোলে শেষ ম্যাচ, দেখুন ফলাফল