ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
জিডিপি অনুপাত না বাড়ার কারণ জানালেন এনবিআর চেয়ারম্যান

দেশের কর-জিডিপি অনুপাত কাঙ্ক্ষিত হারে বৃদ্ধি না পাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে ব্যাপক হারে কর ছাড় দেওয়াকে চিহ্নিত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান। তিনি সতর্ক করে বলেন, "যথেষ্ট পরিমাণ কর আদায় করতে না পারলে বিপদ আছে।"
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘করপোরেট কর এবং ভ্যাটে সংস্কার: এনবিআরের জন্য একটি বিচারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান কর ব্যবস্থা আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, "প্রত্যেক জায়গায় ডিজিটাল হয়ে গেলে সহজেই কর ও ভ্যাট রিটার্ন পাওয়া যাবে।"অনুষ্ঠানে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়, যা দেশের কর ব্যবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ীদের গভীর অসন্তোষের চিত্র তুলে ধরেছে। খ্রিস্টান এইডের (সিএ) সহযোগিতায় পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা যায়, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮২ শতাংশ ব্যবসায়ীই মনে করেন দেশের বর্তমান কর হার ‘অন্যায্য’ এবং এটি তাদের ব্যবসার উন্নয়নে বড় বাধা।
ব্যবসায়ীদের অসন্তোষের পেছনে একাধিক কারণ উঠে এসেছে সিপিডির প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ৭৯ শতাংশ ব্যবসায়ী কর কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার অভাবকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন। ৭২ শতাংশ ব্যবসায়ী কর প্রশাসনে বিদ্যমান দুর্নীতিকে তাদের জন্য প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া, কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল না হওয়াও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তারা।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২৩টি প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিচালিত এই সমীক্ষায় আরও দেখা যায়, ৬৫ শতাংশ ব্যবসায়ীকে নিয়মিত কর দাবি নিয়ে কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিরোধে জড়াতে হয়। অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, কর কর্মকর্তারা কোনো যথাযথ ব্যাখ্যা বা পূর্বাভাস ছাড়াই ইচ্ছেমতো কর আরোপ করেন, যা ব্যবসার ওপর অদৃশ্য চাপ তৈরি করে এবং এটি করের অঙ্কের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর।
প্রতিবেদনে ভ্যাট ব্যবস্থা নিয়েও ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে। ৭৩.৫ শতাংশ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ভ্যাটের জটিল আইন ও অস্পষ্ট নীতিমালা তাদের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। এর সঙ্গে কর কর্মকর্তাদের সীমিত সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার ঘাটতি এবং পণ্য ও সেবার শ্রেণিবিন্যাসের জটিলতা ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও কঠিন করে তুলেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ