ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২

৯ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত

২০২৫ আগস্ট ২২ ১৬:২৮:৫৫

৯ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়ম, লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার কারণে ৯টি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমানতকারীর টাকা ফেরত দিতে না পারা, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি এবং মূলধন ঘাটতির কারণে এসব প্রতিষ্ঠান ‘অপরিচালনযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

বুধবার গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এসব প্রতিষ্ঠানের অবসায়নের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন দেওয়া হয়। ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩ অনুযায়ী লাইসেন্স বাতিলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ক্ষুদ্র আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং কর্মরত কর্মীরা তাদের সব সুবিধা পাবেন।

বন্ধের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, আভিভা ফাইন্যান্স, এফএএস ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, প্রিমিয়ার লিজিং, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং প্রাইম ফাইন্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণের বড় অংশ খেলাপি এবং লোকসান অত্যন্ত বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ৫৯ থেকে ৯৯ শতাংশের মধ্যে এবং লোকসান হাজার কোটি টাকার ওপর।

সরকারের প্রাথমিক ব্যয় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যার মধ্যে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেজুলেশন বিভাগ ইতোমধ্যে অবসায়নের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

বর্তমানে দেশে মোট ৩৫টি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০টি সমস্যাগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, যার ৮৩ শতাংশ খেলাপি। বিপরীতে বন্ধকী সম্পদের মূল্য মাত্র ৬,৮৯৯ কোটি টাকা।

তুলনামূলক ভালো অবস্থানে থাকা ১৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার মাত্র ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং তারা লাভের মুখ দেখেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করে অবসায়নের প্রাথমিক ধাপে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের টাকা নিরাপদে ফেরত দেয়া যাবে এবং কর্মরত কর্মীদের যথাযথ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত