ঢাকা, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নতুন বেতন নির্ধারণে কমিটি গঠন

২০২৫ আগস্ট ২২ ১৩:১৮:০২

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নতুন বেতন নির্ধারণে কমিটি গঠন

সরকার সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি ২০২৫’ গঠন করেছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, নয় সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির সভাপতি হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে নিযুক্ত করা হয়েছে। কমিটি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য যুগোপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের সুপারিশ করবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা প্রতিরক্ষা বাহিনী সদস্যদের (বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতীত) জন্য ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ গঠনের অনুমোদন প্রদান করেছেন। কমিটিকে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে এবং আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সুপারিশের ২৫ কপি বই আকারে জমা দিতে হবে।

এর আগে ২৭ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করেছে।

সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন: মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং, এয়ার কমডোর জামিল উদ্দিন আহম্মদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিলিয়া শারমিন ও ক্যাপ্টেন মো. তৌহিদ সাগর। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিশাদুল ইসলাম খানকে সদস্যসচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

কমিটিকে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের (এমওডিসি এবং ধর্মীয় পরামর্শদাতা কর্মকর্তাসহ) বর্তমান বেতন-ভাতা, অবসরভাতা ও পারিবারিক অবসরভাতা পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো প্রণয়নের সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ, বেতন-ভাতার ওপর আয়কর আরোপ এবং বেতনবহির্ভূত সুবিধা যেমন বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ, উৎসব ও শ্রান্তিবিনোদন ভাতা নিরূপণের সুপারিশ করতে হবে।

কমিটিকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন সমন্বয় পদ্ধতি নির্ধারণ, যথোপযুক্ত অবসর সুবিধা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজের মান অনুযায়ী বেতন-ভাতায় প্রতিফলন, সরাসরি সেবা সংক্রান্ত প্রাধিকার আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন ও রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।

উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রমের অসংগতি, বিদ্যমান বেতন-ভাতার বৈষম্য দূরীকরণ, পদমর্যাদা ও পদবিন্যাস, পদোন্নতিতে প্রতিযোগিতার সুযোগ, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার গুরুত্বও বিবেচনার মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে।

কমিটিকে একটি পিতা-মাতাসহ ছয় সদস্যের পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয়, অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা চাহিদা, মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ, সেবা মান উন্নয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর অতীত কীর্তি ও ভাবমূর্তি, যুদ্ধ ও শান্তিকালীন দায়িত্ব, কঠোর পরিশ্রম, জীবনবেগী চাকরি, শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার মানদণ্ড, সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি এবং দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কমিটি সুপারিশ প্রণয়নে নিজস্ব নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করবে, প্রয়োজনবোধে দেশের যে কোনো সংস্থা বা ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ ও সহায়তা নিতে পারবে। এছাড়া প্রয়োজনে তিন বাহিনীর জন্য পৃথক সাব-কমিটি গঠন করে সুপারিশ বিবেচনা করতে পারবে এবং কোনো সদস্যকে এই কমিটি বা সাব-কমিটির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত