ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২
‘দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে যদি কেউ একটি নথিও দেখিয়ে প্রমাণ করতে পারেন যে আমরা দুর্নীতি করেছি, তাহলে আমরা সবাই রাজনীতি থেকে সরে আসবো। জাতীয় নাগরিক কমিটি আসন ভাগাভাগির রাজনীতিতে নেই। আমাদের আসন বিক্রির জন্য নয়, আমরা বিক্রি হওয়ার জন্য আসিনি। তিনি বলেন যারা অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে ছিলেন, মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের চরিত্রহননের চেষ্টা করছে এবং দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা কোনো দুর্নীতি করিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডনে গিয়ে তার সরকার বেচে দিয়ে আসছে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান এবং রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একইসঙ্গে প্রেস কনফারেন্স করে, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির কোথাও নেই।
হাসনাত বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার যে কারণগুলো বিদ্যমান, সেগুলো রেখে যদি নতুন রাষ্ট্র গঠন করা হয়, তবে একসময় তা আবার গণপ্রতিরোধের মুখে পড়বে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী, গণমাধ্যম যেসব কারণে ১৫ বছর ধরে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে ছিল, আমরা সেই শক্তিগুলোকেই গণমুখী রাষ্ট্র গঠনের দায়িত্ব দিয়ে দিচ্ছি। তিনি কালেরকণ্ঠ পত্রিকারও তীব্র সমালোচনা করেন।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার বলেন, আমরা যখন গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলি, অনেকে মনে করেন আমরা সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাই। বিষয়টি তা নয়। আমরা চাই, গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের পরই জাতীয় নির্বাচন হোক। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে সরকার যেকোনো সময় নির্বাচন দিতে পারে।
আখতার আরও বলেন, যারা মনে করেন গণপরিষদ নির্বাচন ক্ষমতায় যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের আহ্বান নির্বাচন করুন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে সংসদ সদস্য ও গণপরিষদের সদস্য হতে পারেন। তারা নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে সরকার চালাবেন এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন ও বর্তমান সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় হলো গণপরিষদ নির্বাচন। তার মতে, জুলাই ঘোষণাপত্র জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রকাশ করা উচিত ছিল। কিন্তু সেখানে জনগণ ও শহীদ পরিবারের পরিবর্তে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে নোবেলজয়ী ড. ইউনুস জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি বলেন, যে কোনো আসন্ন নির্বাচন অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরই জাতীয় নির্বাচন দেওয়া উচিত। ১৯৭২ সালের সংবিধান মূলত ফ্যাসিস্ট শাসন তৈরির ভিত্তি, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে প্রণীত হয়েছিল। তাই সেই সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান আনতে হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত