ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
পাক সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারিতে ভারতে তোলপাড়

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক মার্কিন সফরকালে দেওয়া মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই মন্তব্য পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের ‘পারমাণবিক অস্ত্রের ভয় দেখানো’ কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি। তারা আরও স্পষ্ট করে জানায়, ভারত কখনোই পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের কাছে মাথা নত করবে না।
সোমবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এমন মন্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে পাকিস্তানের পারমাণবিক কমান্ড ও কন্ট্রোল ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিশেষ করে যখন একটি দেশের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে এ ধরনের মন্তব্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটি থেকে করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ভারত কখনো পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি বলেন, ভারত যদি সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করে তবে সেটি সম্পন্ন হওয়ার পর পাকিস্তান ১০টি মিসাইল নিক্ষেপ করে সেই বাঁধ ধ্বংস করবে। একই সঙ্গে তিনি পারমাণবিক যুদ্ধের সতর্কবার্তাও দেন যা পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় তার জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুনির বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি দেখি যে আমরা ডুবে যাচ্ছি তাহলে অর্ধেক দুনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ডুবব।’
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে এবং সিন্ধু নদকে ‘ভারতের পারিবারিক সম্পত্তি’ হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তার স্পষ্ট ভাষায়, ‘আমাদের মিসাইলের কোনো অভাব নেই।’
চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তান চার দিনব্যাপী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এর ঠিক এক মাস আগে কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহতের পর নয়াদিল্লি সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল করে পাকিস্তানের জন্য পানি সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেয়।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু অববাহিকার তিনটি নদীর পানি ব্যবহার করে আসছিল পাকিস্তান।
নদী ও পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অতীতেও দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে তবে প্রকাশ্যে বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এর আগে কখনো শোনা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা না বাড়ালে এ উত্তেজনা বড় ধরনের সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- ঢাবি ছাত্রদলের ব্যতিক্রমধর্মী মিছিল, শুধু হাততালি