ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২
ডিমিউচুয়ালাইজেশনের এক যুগ পরও তালিকাভুক্তিতে নীরব ডিএসই

শেয়ারবাজারের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে শক্তিশালী কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির জন্য সবাই জোর দাবি জানালেও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তার নিজের বাধ্যতামূলক স্ব-তালিকাভুক্তির বিষয়ে নীরব রয়েছে।
২০১৩ সালে ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের অংশ হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর ব্যবস্থাপনা ও মালিকানা পৃথক করা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাজারের উন্নত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা। এই আইন পাস হওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু ডিএসই এখনও সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের শেয়ার বিক্রি করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সম্প্রতি তাদের তালিকাভুক্তির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
বিলম্বের কারণ ও দায় কার?
ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনে শেয়ার বিক্রির কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্তটি এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের ওপর নির্ভর করে। ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার-পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এটি ডিএসইর আগের পর্ষদগুলোর ব্যর্থতা, বিশেষ করে স্বাধীন পরিচালকদের, যারা পর্ষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর মতে, যদি স্বাধীন পরিচালকরা উদ্যোগ নিতেন, তাহলে শেয়ারহোল্ডার-পরিচালকরা তালিকাভুক্তি ঠেকাতে পারতেন না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আগের কমিশনগুলো বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে অনেক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলেও, ডিএসইকে তালিকাভুক্ত করার জন্য কোনো আদেশ জারি করেনি।
ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, ডিএসইর ৪০ শতাংশ শেয়ার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ দুটি চীনা কৌশলগত অংশীদারের কাছে বিক্রি করা হয় এবং বাকি ৩৫ শতাংশ সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করার কথা, যার মাধ্যমে এক্সচেঞ্জটি তালিকাভুক্ত হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি
২০২১ সালের ডিসেম্বরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএসইকে তালিকাভুক্তির পরিকল্পনা করতে বলেছিল এবং ২০২২ সালের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল। ডিএসইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা স্ব-তালিকাভুক্তির বিষয়ে বিএসইসি-এর কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সে বিষয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বিএসইসি'র মুখপাত্র মো. আবুল কালাম মনে করেন, ডিএসইর তালিকাভুক্তির জন্য এখন উপযুক্ত সময়। তার মতে, শেয়ারবাজার এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং ডিএসই একটি স্বনামধন্য ও মৌলিক কোম্পানি হওয়ায় ভালো দামে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে।
তবে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এই মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি তালিকাভুক্তির অনুকূল নয়। এক্সচেঞ্জের পরিচালন আয় মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় শেয়ারহোল্ডাররা ভালো দাম না পাওয়ার ভয়ে শেয়ার বিক্রি করতে আগ্রহী নন। ইমন আরও বলেন, ডিএসই এখন সুদের আয়ের ওপর টিকে আছে। তিনি মনে করেন, শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে এলে ডিএসই তালিকাভুক্ত হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান,সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- এশিয়া কাপ: পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- উৎপাদন বন্ধ ৩০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে ডিএসই
- তালিকাচ্যুত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বলির পাঠা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা!
- শেয়ারবাজারের ১২ কোম্পানির ২ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ
- সিটি ব্যাংক পোর্টফোলিও ম্যানেজারের শেয়ার জালিয়াতি, তদন্তে বিএসইসি
- যেভাবে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে
- এনবিআর-এর ক্যাশ গেইন প্রতিক্রিয়া অতিরঞ্জিত: আনিসুজ্জামান চৌধুরী
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ৬ কোম্পানিতে
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- নতুন দিগন্তে বেক্সিমকো, শেয়ারবাজারে আশার আলো
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ জানাল তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নতুন আবেদন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু সিরামিক
- ঝড়ের গতিতে উত্থান, রকেটের গতিতে পতনের শেয়ার