ঢাকা, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপে লন্ডভন্ড সেন্ট মার্টিন

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ২৮ ১৬:০৪:৪৮
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপে লন্ডভন্ড সেন্ট মার্টিন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট উত্তাল ঢেউ এবং অস্বাভাবিক জোয়ারে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত দুই দিনের তাণ্ডবে দ্বীপের ১১টি হোটেল ও রিসোর্ট বিধ্বস্ত হয়েছে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে ঢেউয়ের আঘাতে পাকা স্থাপনাসহ ১১টি হোটেল তছনছ হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় দ্বীপের বিভিন্ন এলাকার গাছপালা উপড়ে গেছে এবং লোকালয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে শতাধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দারা বলছেন, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তারা আগে দেখেননি।

ক্ষতিগ্রস্ত হোটেলগুলোর মধ্যে রয়েছে হোটেল অবকাশ পর্যটন, নোনাজল বিচ রিসোর্ট, আটলান্টিক রিসোর্ট, বিচ ক্যাম্প রিসোর্ট, নিল হাওয়া বিচ রিসোর্ট, শান্তি নিকেতন বিচ রিসোর্ট, মেরিন বিচ রিসোর্ট, পাখি বাবা রিসোর্ট, সিভিউ রিসোর্ট, ডিমার্স প্যারাডাইস রিসোর্ট এবং সানডিবিস রিসোর্ট।

দ্বীপের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ওসমান জানান, সৈকত সংলগ্ন হোটেলগুলো জোয়ারের পানির তোড়ে তলিয়ে গিয়েছিল। পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে। তিনি বলেন, "এবারের মতো এত ভাঙন আগে দেখিনি।"

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক সেন্ট মার্টিনে একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তার মতে, গত দুই দিনের জোয়ারে সেন্ট মার্টিনের চারপাশ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে, যা একটি বেড়িবাঁধের অভাবকেই সামনে নিয়ে এসেছে।

এদিকে, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান জানিয়েছেন, তিনি সেন্ট মার্টিনে জোয়ারের পানিতে বেশ কয়েকটি হোটেল এবং ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি শুনেছেন। তিনি বলেন, "বিষয়টি আমরা দেখছি।"

উল্লেখ্য, নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে, যার ফলে দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ইতিহাস

বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ইতিহাস

বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদনে বলা... বিস্তারিত