ঢাকা, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২
দেশব্যাপী উদযাপিত হবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ
.jpg)
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন আগামী ২২-২৮ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ একযোগে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অর্থাৎ সমগ্র দেশব্যাপী উদযাপিত হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মৎস্য সপ্তাহ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫–কে এবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি বিশেষ উপলক্ষ হিসেবে উদযাপন করা হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, এবারের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে থাকছে মৎস্য পদক প্রদান, সচেতনতামূলক কার্যক্রম, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনার, কর্মশালা ও মৎস্য প্রদর্শনী। এসব আয়োজনের মাধ্যমে মৎস্য খাতের জাতীয় অবদান এবং মৎস্যজীবীদের জীবন ও সংগ্রাম তুলে ধরা হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মৎস্য পদক নীতিমালা অনুসারে ৭টি ক্যাটাগরিতে ১৬ জনকে পদক দেওয়া হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক। এই সম্মাননা প্রদান করবেন সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ফরিদা আখতারবলেন, দেশীয় মাছের প্রজনন ও আবাসস্থল সংরক্ষণ, জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষা, টেকসই উৎপাদন এবং মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে ৬৬৯টি অভয়াশ্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব অভয়াশ্রম পরিচালনার দায়িত্ব মূলত মৎস্যজীবী সমাজের ওপরই ন্যস্ত।
উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে হাওর অঞ্চলে ১০টি স্থায়ী অভয়াশ্রম, ইলিশের জন্য ৬টি, হালদা নদীতে ১টি এবং কাপ্তাই হ্রদে ৬টি অভয়াশ্রম কার্যকর রয়েছে। সরকার ভবিষ্যতে আরও অভয়াশ্রম গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, মৎস্য খাত দেশের মোট জিডিপির ২.৫৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২২.২৬ শতাংশ অবদান রাখছে। প্রায় ২ কোটি মানুষ—এর মধ্যে ১২ লাখ নারী—এই খাতের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত।
এ ছাড়া তিনি জানান, দেশের মানুষের মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণ ৬৭.৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে, যা প্রয়োজনীয় চাহিদার (৬০ গ্রাম) চেয়ে বেশি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই চাহিদা আরও বাড়াতে হবে, যাতে স্বাস্থ্যকর আমিষ গ্রহণে মাছের ভূমিকা আরও জোরদার হয়।
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি এবং পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে শুধু দেশীয় মাছের উৎপাদনই বাড়বে না, বরং মৎস্যজীবীদের জীবনমানও উন্নত হবে এবং মাছের প্রজাতিগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৪ কোম্পানি
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ