ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২
‘গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না’
.jpg)
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন গোপালগঞ্জে কোনো ধরনের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, যারা প্রকৃত দোষী, কেবল তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি। তবে যেভাবে বলা হচ্ছে গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। কেবল সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কাউকে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং তারা এ কাজ সফলভাবে পালন করতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ডাকা জুলাই পদযাত্রা ঘিরে গোপালগঞ্জ শহরে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে শহরের কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে গোটা জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।
পরদিন (বৃহস্পতিবার) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এক ব্রিফিংয়ে জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে কারফিউর মেয়াদ বাড়িয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্যকর রাখা হবে। তবে এ সময়ের মধ্যে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় আরও এক দফা কারফিউর মেয়াদ বাড়িয়ে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বহাল রাখা হয়।
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় কয়েকটি মামলায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে এখানে গণগ্রেপ্তারের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, যারা সত্যিকার অর্থে অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অবস্থান সাধারণ জনগণ ও অধিকারকর্মীদের মধ্যেও স্বস্তি তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার