ঢাকা, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
সাংবাদিক দম্পতি গ্রেপ্তারে জাতিসংঘকে যে ব্যাখ্যা দিল বাংলাদেশ

সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদের আটকের ঘটনা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনকে ব্যাখ্যা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২ জুলাই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট বিভাগে লিখিতভাবে এ ব্যাখ্যা পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, 'ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন। গত ৮ আগস্ট তাদের চাকরিচ্যুত করে টিভি কর্তৃপক্ষ। চাকরিচ্যুতির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারিখটি বেছে নেওয়া হয়; কারণ, গত ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর সেদিন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। যদিও তাদের চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে সরকার কোনোভাবেই যুক্ত ছিল না। আর উক্ত দম্পতি চাকরিচ্যুতির বিষয়ে কোনো অভিযোগও করেননি।'
এতে আরও বলা হয়, 'ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদসহ একদল লোকের বিরুদ্ধে গত বছর গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত ব্যক্তির ভাই গত ২১ আগস্ট ঢাকার উত্তরা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে নেওয়া হলে পুলিশের আবেদনক্রমে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।'
অন্তর্বর্তী সরকারের ওই চিঠিতে বলা হয়, 'নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ, স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও প্রয়োজনে চিকিৎসাসহ কারাবিধি অনুযায়ী প্রাপ্য সব সুবিধা তারা পাচ্ছেন। ফারজানা রুপার মা মারা যাওয়ার পর তাকে শেষবার দেখার জন্য অংশ নিতে তাদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগেও ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা আছে। এ ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগসহ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা, তারা তা পাবেন।'
এতে আরও বলা হয়, 'বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন না। কাজেই সরকারের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের অভিযোগে তাদের আটক করার অভিযোগটি ঠিক নয়। পূর্ববর্তী সরকারের মেয়াদকালে সংঘটিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের আটক করা ও বিচারের মুখোমুখি করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের কোনো লঙ্ঘন করা হয়নি।'
উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞসহ তিনজন বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে আটক করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে একটি চিঠি দেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে প্রেরিত ওই চিঠিতে তাদের গ্রেপ্তারের কারণ, আনা অভিযোগ এবং বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১২ কোম্পানি
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- ১৭ কোম্পানি শেয়ারে সফল বিনিয়োগ, ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- ‘শেয়ারবাজারের মাঠ খেলার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত’
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, মারা গেলেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!
- আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ার কারসাজি, তদন্তে নেমেছে বিএসইসি