ঢাকা, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
ফ্যাসিবাদ বিদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে: শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন বাংলাদেশে আর ফ্যাসিস্ট শাসনের ছায়ায় কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, আমরা ন্যায়ের পক্ষে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে আছি। যতক্ষণ দেশে ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্নটুকু থাকবে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।
শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের কিং অব কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, বাংলার জমিনে কোনো ফ্যাসিবাদ টিকে থাকতে পারবে না। অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আমরা আগেও করেছি, এখনো করছি। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এজন্য প্রয়োজনীয় কিছু মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব আমরা স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেছি। এ সংস্কারে বাধা দেওয়া কোনো দলের সদিচ্ছার পরিচায়ক হতে পারে না। তিনি বলেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন মানে জনগণের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।
২৪-এর শহীদদের স্মরণ করে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করব না। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই আমরা চালিয়ে যাব। আগামি নির্বাচনে প্রশাসনিক ক্যু দেখতে চাই না। যদি সেটাই হয়, তাহলে এত মানুষ শহীদ হলো কেন?
সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের মহাসড়কের কথা বললেও বাস্তবতা হলো ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার এবং রূপপুর বালিশকাণ্ডের মতো দুর্নীতির কাহিনি। বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো, একের পর এক জামায়াত নেতাকে হত্যার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, রিমোট কন্ট্রোল রায় দিয়ে শুধু আমাদের নেতাদের নয়, দেশের বিচার ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করা হয়েছে।
সমাজ পরিবর্তনে যুবকদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত সমাজ পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি যুবসমাজ। আবু সাঈদদের মতো শহীদদের রক্তের ঋণ আমাদের মাথার উপর। তারা জীবন দিয়ে জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর যখন দেশে পুলিশের উপস্থিতি ছিল না, তখন আমাদের নেতাকর্মীরাই মানুষের জানমাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে। ২৩২টি থানায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে দায়িত্ব পালন করেছি। তাই পুলিশ বাহিনীকে বলব, কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না, জনগণের পুলিশ হন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান। এতে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মাসুমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১২ কোম্পানি
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- ‘শেয়ারবাজারের মাঠ খেলার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত’
- ১৭ কোম্পানি শেয়ারে সফল বিনিয়োগ, ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!