ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

ইতালি নাগরিককে হ'ত্যা মামলায় বিএনপি নেতাসহ ৪ জনকে খালাস

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ০৩ ১৭:৩৬:৫১
ইতালি নাগরিককে হ'ত্যা মামলায় বিএনপি নেতাসহ ৪ জনকে খালাস

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশন বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল।

অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুম, তাঁর ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন এবং সোহেল।

তাঁদের খালাস দেওয়ার বিষয়ে রায়ে আদালত বলেন, "এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।"

রায়ে শাখাওয়াত হোসেনকে অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না থাকলে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম ও সোহেলের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মামলার রায় ঘোষণার সময় তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ও শাখাওয়াত হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা অবস্থায় আবদুল মতিন স্বেচ্ছায় আদালতে উপস্থিত হন।

রায় ঘোষণার পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, '২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে তাবেলা সিজারকে গুলি করে একদল দুর্বৃত্ত। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।'

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ ঘটনার দায় নেয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছিল।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পর আইসিসিও কো-অপারেশন বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন দার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

পরবর্তী বছর ২৮ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী ঢাকার আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, 'তাবেলা সিজারের ওপর হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।'

গ্রেপ্তারের পর তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন, আবদুল মতিন ও শাখাওয়াত হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

অন্যদিকে মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার সময় পলাতক ছিলেন বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম ও সোহেল।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত