ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
নিহ'তের আগে যুগান্তকারী আবিষ্কারে ভূমিকা রাখেন ইরানের বিজ্ঞানী
.jpg)
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। তারা সফলভাবে সারফেস ডাইলেকট্রিক ব্যারিয়ার ডিসচার্জ (এসডিবিডি) পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি প্লাজমা ডিভাইস তৈরি করেছেন।
এই নতুন ডিভাইসটি বায়ুমণ্ডলীয় চাপে প্লাজমা উৎপন্ন করতে সক্ষম। এটি সারফেস পরিবর্তন, জীবাণুমুক্তকরণ এবং চিকিৎসা খাতে বহুল ব্যবহৃত হয়। ফলে এ উদ্ভাবন চিকিৎসা ও শিল্প খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করেছেন। তবে এই প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সময় দখলদারদের হামলায় নিহত হন।
বর্তমানে পারমাণবিক শক্তিকে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস হিসেবেই নয় বরং চিকিৎসা, কৃষি, শিল্প ও পরিবেশসহ নানা খাতে বিজ্ঞানের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে দেখা হয়। ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক সময়ে এই শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন।
প্লাজমা প্রক্রিয়াকরণের সময় ও শক্তি সাশ্রয়ে এই প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ব্যবস্থার প্রক্রিয়াগুলো সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং অন্যান্য নিম্ন-চাপ প্লাজমা উৎপাদন পদ্ধতির তুলনায় এতে খরচও তুলনামূলকভাবে কম।
এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ঠান্ডা প্লাজমা বহুবিধ খাতে ব্যবহারযোগ্য। এর ব্যবহার ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা ও দন্তচিকিৎসা, পৃষ্ঠতল জীবাণুমুক্তকরণ, মুদ্রণ ও প্যাকেজিং শিল্প, শিল্প পর্যায়ে ওজোন উৎপাদন, বস্ত্র খাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং কৃষিখাত।
উন্নত প্রযুক্তিগত নকশা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান এবং ইরানের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী আমির হোসেইন ফাগিহির তত্ত্বাবধানে কাজ করা গবেষক দলের প্রচেষ্টার ফলেই যন্ত্রটি তৈরি সম্ভব হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় তেহরানে নিহত হওয়ার আগে এই প্রকল্পে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
ইরানের প্লাজমা ও নিউক্লিয়ার ফিউশন গবেষণা কেন্দ্রের এই অর্জন দেশীয় জ্ঞানের ভিত্তিতে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ইরানি বিজ্ঞানীদের দক্ষতা ও সক্ষমতাকে প্রমাণ করে। বৈশ্বিক চাপ ও বৈরিতা সত্ত্বেও ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন ও উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছেন।
এসডিবিডি প্লাজমা উৎপাদন যন্ত্রটি শুধু বৈজ্ঞানিক অর্জন নয় বরং দেশীয় শিল্পে ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন মেটাতে একটি বাস্তব সমাধান হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। এটি শিল্প ও চিকিৎসা খাতে পারমাণবিক প্রযুক্তির কার্যকর একীকরণের পথও উন্মুক্ত করেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১২ কোম্পানি
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- ১৭ কোম্পানি শেয়ারে সফল বিনিয়োগ, ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- ‘শেয়ারবাজারের মাঠ খেলার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত’
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!
- হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, মারা গেলেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
- আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ার কারসাজি, তদন্তে নেমেছে বিএসইসি