ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ফের সংলাপে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

দুই দিনের বিরতির পর আগামীকাল (বুধবার) আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এই সংলাপ শুরু হবে, যা সভাপতিত্ব করবেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের অষ্টম দিনে আলোচনায় থাকছে— নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সংক্রান্ত প্রস্তাব।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো নিয়ে প্রস্তাব:সংবিধান সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগে এনসিসির (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল) বদলে ‘সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটির’ পাঁচ বা ছয় সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব রয়েছে।
বিকল্পভাবে, রাষ্ট্রপতির কাঁধে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া, অথবা সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যদি তিনি না পারেন বা না চান, তাহলে পরবর্তী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্য থেকে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উপদেষ্টাদের নিয়োগ ও সরকারের রূপরেখা:কমিশনের মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে ২০ উপদেষ্টার একটি প্যানেল গঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পরামর্শ কমিটির মাধ্যমে সরকারের রূপরেখা নির্ধারণ করে ক্ষমতাসীন দলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ নিয়ে প্রস্তাব রয়েছে দুইভাবে— সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতে ৯০ দিন, আর নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিশনের মতে ৪ মাস, যার মধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন শেষ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা:রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অভিযোগ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ঠেকাতে ‘ক্ষমা প্রদর্শন আইন’ প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ আইনের আওতায় একটি ক্ষমা প্রদর্শন বোর্ড গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল হবেন চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসেবে থাকবেন:
সরকার ও বিরোধী দলের একজন করে এমপি
একজন কারা পরিদর্শক
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মনোনীত সিভিল সার্জন
একজন মনোবিদ
বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি আইন ও বিধিমালা অনুসারে ক্ষমা প্রদর্শন করতে পারবেন। এই প্রস্তাব কার্যকর করতে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধনের কথাও বলা হয়েছে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ক্ষমা প্রদর্শন হবে একটি অত্যন্ত বিরল এবং যুক্তিসংগত সাংবিধানিক ক্ষমতা, যা অপরাধের প্রকার, ভুক্তভোগীর অবস্থা, অপরাধীর অনুতাপ, কারাদণ্ডের মেয়াদ, স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, জনমত ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়েই প্রয়োগ করা যাবে।
এই সংলাপ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাঠামো নিয়ে আগামী দিনের রাজনৈতিক সমঝোতা নির্ভর করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঢাবিতে বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত টিএসসি এলাকা