ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
বছরের প্রথমার্ধে
শেয়ারবাজারে জিতেছে ১২৫ কোম্পানি, হেরেছে ২৬০

চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে শেয়ারবাজারের সূচক কমেছে এবং লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। জানুয়ারি ১ তারিখে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ২১৮ পয়েন্ট। ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে ৬ মাসের ব্যবধানে ডিএসইর সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৩৮ পয়েন্টে।অর্থাৎ বছরের প্রথম ৬ মাসে ডিএসইর সূচক কমেছে ৩৮০ পয়েন্ট।
গত ছয় মাসে ডিএসইতে মোট ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে ০.১৩ শতাংশ থেকে ১০৪.৬২ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস সর্বোচ্চ ১০৪.৬২ শতাংশ এবং এস আলম কোল্ড রোল স্টিল ৯৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে ৫১ শতাংশের বেশি মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা ৭টি, ৩১-৫০ শতাংশের মধ্যে বেড়েছে ১১টি কোম্পানির দর, ১৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩টি কোম্পানির, এবং বাকি ৮৪টি কোম্পানির দাম বেড়েছে ০.১৩ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত। এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয়, সামগ্রিক সূচক পতন সত্ত্বেও নির্বাচিত কিছু কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীরা দারুণ মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তবে একই সময়ে ২৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমেছে, যার হার ০.০৪ শতাংশ থেকে ৫০.২২ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে ২০টি কোম্পানির দাম ৩০ শতাংশের ওপর থেকে ৫০.২২ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে, ৮৭টি কোম্পানির দাম ১৫ শতাংশের ওপর থেকে ৩০ শতাংশের কম পর্যন্ত কমেছে এবং বাকি ১৫৩টি কোম্পানির দাম ০.০৪ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশের কম কমেছে। এই ছয় মাসে সর্বোচ্চ দাম কমেছে আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজের (৫০.২২ শতাংশ) এবং বিচ হ্যাচারির (৪৭.৮৪ শতাংশ)। এছাড়া, আলোচ্য ৬ মাসে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, জুন মাসের মধ্যভাগ থেকে বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে এবং লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বাজারের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাব্যঞ্জক। যদিও গত ছয় মাসের সামগ্রিক সূচক পতন একটি চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু যেসব কোম্পানি উল্লেখযোগ্য মুনাফা দিয়েছে এবং বর্তমান ইতিবাচক বাজারের গতিপ্রকৃতি এটাই প্রমাণ করে, সঠিক বিনিয়োগ কৌশলের মাধ্যমে এখনও লাভবান হওয়া সম্ভব। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চলমান সংস্কার, নির্বাচনমুখিতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার আশাবাদ বাজারের এই ইতিবাচক প্রবণতাকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার