ঢাকা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

'প্রেস সচিবকে আমরা অবরুদ্ধ করিনি'

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ২৮ ২২:৪৫:১৪
'প্রেস সচিবকে আমরা অবরুদ্ধ করিনি'

গত কয়েকদিন ধরেই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলীর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চলছে। আজ আন্দোলনের সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম খুলনা প্রেসক্লাবে অবরুদ্ধ বলে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রচার করেছে। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করতে নয়, কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে প্রেসক্লাব ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা।

শনিবার (২৮ জুন) রাতে খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে আমরা অবরুদ্ধ করিনি।"

সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, "তিনি আমাদের খুলনার অতিথি। আমরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (কেএমপি) জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবির বিষয়টি তাকে অবহিত করতে গিয়েছি। গত চার দিন যে আন্দোলন করছি, খুলনার আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে—এসব বিষয় আমরা প্রেস সচিবকে জানাতে গেছি। আমরা চেয়েছি খুলনার পরিস্থিতি তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।"

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আমাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবগত করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব।"

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে খুলনা প্রেসক্লাবে এলে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ক্লাব ভবনে উপস্থিত হয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনা নগরীর খানজাহান আলী রোডের গ্লাক্সোর মোড়ে আন্দোলনকারীরা কেএমপি সদর দফতর ঘেরাও, সড়ক অবরোধ ও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

পরে বিকেল ৫টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা খুলনা প্রেসক্লাবের দিকে রওনা দেন এবং প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকায় স্থানীয় জনতা উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটকে রেখে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। অথচ এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা এবং বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়িতে ভাঙচুরসহ দুটি মামলা রয়েছে।

তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে ছাত্র-জনতা। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেপ্তার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত